কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মRead more
কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মুশরিকদের দেব-দেবীগুলিকেও কার্টুনের সাথে সাদৃশ্যশীল মনে করে। মূর্তি- সংস্কৃতিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে। মূর্তিপূজারীদের অনেক মূর্তি কার্টুন সদৃশ। তাই এ ধরণের কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা দেয়া যাবে না। প্রাণীর ছবি আকার-আকৃতি যে নামই দেয়া হোক না কেন তা রসূলুল্লাহ (সাঃ) নিষিদ্ধ করেছেন। বাচ্চাদেরকে আক্বীদাহগতভাবে মূর্তি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তোলা প্রয়োজন। ইসলামের দিকনির্দেশনা ও স্মৃতিচিহ্ন গুলো যা অবিকৃত সংরক্ষিত আছে এবং ইসলামের সৌর্যবীর্য প্রমাণিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী গল্প আকারে সহজ ভাষায় রচনা করে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিলে ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ ۗ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَىٰ وَلَٰكِن تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ.
তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ, হেদায়েত ও রহমত রয়েছে। (সূরা ইউসূফ আয়াত : ১১১)
সালাত না পড়া এবং নেশা করা এটা তার আমলের ত্রুটি। তাদের টাকায় কেনা খাবার খাওয়া জায়েজ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমাRead more
সালাত না পড়া এবং নেশা করা এটা তার আমলের ত্রুটি। তাদের টাকায় কেনা খাবার খাওয়া জায়েজ।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়।
এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে পতিত হবে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম (বৈরূত : ১৪২২/২ ০০১) ২০১ পৃ.)।
রাসূল (ছাঃ) ইহূদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন ও তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন ।
তবে বিরত থাকা উত্তম। কেননা সে দুটি বড় ধরনের পাপে লিপ্ত। অথচ লাল কাপড় পরিহিত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম প্রদান করলে তিনি সালামের জওয়াব দেননি। কারণ তিনি লাল কাপড় পরিধান করা পুরুষদের জন্য পসন্দ করতেন না (হাকেম হা/৭৩৯৯; ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/১৩৫০, সনদ ছহীহ)।
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইলRead more
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইল ও সফরের সময়কাল ১৯ দিন পর্যন্ত কসর করার প্রমাণ রয়েছে। হাদীস নিম্নে দেয়া হলো:
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةَ عَشَرَ يَقْصُرُ، فَنَحْنُ إِذَا سَافَرْنَا تِسْعَةَ عَشَرَ قَصَرْنَا، وَإِنْ زِدْنَا أَتْمَمْنَا
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থানকালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ঊনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ আদায় করি। (সহিহ বুখারী তাওঃ পাবঃ হাঃ নং ১০৮০)
তবে সাময়িক থাকার নিয়ত থাকে কিন্তু কোন কারণে সফর অনেক দীর্ঘ হয়ে যায় তাহলে যতদিন থাকবে ততদিনই কসর করতে পারবে।
عن نافع، قال: أقام ابن عمر بأذربيجان ستة أشهر، أو قال: ستة عشرا شهراً يقصر الصلاة، وكان الثلج حبسهم، وكان يصلي ركعتين.
নাফি’ (রহ.) থেকে বর্ণিত: ইবনে উমর (রাঃ) আজারবাইজানে ছয় মাস অথবা ষোল মাস (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অবস্থান করেছিলেন এবং এই পুরো সময় কসর নামাজ আদায় করতেন।
তুষারপাতের কারণে তারা আটকা পড়েছিলেন, কিন্তু তবুও তিনি দুই রাকাত (কসর) নামাজই পড়তেন।
মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নম্বর: : 9360
ইমাম বুখারী, ইমাম মালিক এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও এই আমল উল্লেখ করেছেন।
যেহেতু তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়ত করেন নি বরং তুষার তাকে আটকে রেখেছিল।
عن أنس بن مالك أنه أقام بالشام سنتين يقصر الصلاة.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) শামে দুই বছর অবস্থান করেছিলেন এবং কসর নামাজ আদায় করেছিলেন।
المصنف لابن أبي شيبة
হাদীস বর্ণনা আছে ইবন কুদামার المغني গ্রন্থেও।
ওযুর অঙ্গের মধ্যে এক চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ওযু হবে না। আর ঐ অজু দিয়ে সালাত হবেনা। ওযুর অঙ্গ ভেজা থাকা অবস্থায় যদি কোনো জায়গা শুষ্ক দেখা যায় তাহলে ভেজা অংশ থেকে হাত দ্বারা শুকনো অংশ ডলে দিলে ওযু হয়ে যাবে। কিন্তু ওযুর অঙ্গ শুকিয়ে গেলে নতুন করে ওযু করতে হবে। যেহেতু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাRead more
ওযুর অঙ্গের মধ্যে এক চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ওযু হবে না। আর ঐ অজু দিয়ে সালাত হবেনা। ওযুর অঙ্গ ভেজা থাকা অবস্থায় যদি কোনো জায়গা শুষ্ক দেখা যায় তাহলে ভেজা অংশ থেকে হাত দ্বারা শুকনো অংশ ডলে দিলে ওযু হয়ে যাবে। কিন্তু ওযুর অঙ্গ শুকিয়ে গেলে নতুন করে ওযু করতে হবে।
যেহেতু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা কতক লোকের শুষ্ক গোড়ালি দেখে বলেছিলেন, “গোড়ালিগুলোর জন্য দোযখে ধ্বংস ও সর্বনাশ রয়েছে! তোমরা ভালরুপে (সকল অঙ্গকে সম্পূর্ণরুপে) ধুয়ে ওযু কর।” (মুসলিম, মিশকাত ৩৯৮নং)
এক ব্যক্তি ওযু করার পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে দেখলেন, তার দুই পায়ে নখ পরিমাণ জায়গা শুষ্ক রয়েছে। তিনি তাকে বললেন, “তুমি ফিরে গিয়ে ভালরুপে ওযু করে এস।” (আবূ দাঊদ, সুনান ১৫৮নং)
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন তাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচRead more
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন
তাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচানোর জন্য তার অনুপিস্থিতিতে তার ত্রুটি বর্ণনা করা গীবত নয়। ইমাম নববী গীবত থেকে যে ৬টি বিষয়কে আলাদা করেছেন এটা হল তার একটি।
হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, বিদ‘আতী ব্যক্তির সমালোচনা করা হারাম গীবতের পর্যায়ভুক্ত নয়।
(হেবাতুল্লাহ লালকাঈ, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ১/১৫৮।)
একবার আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল,
الرجل يصوم ويصلي ويعتكف أحب إليك أو يتكلم في أهل البدع؟ ‘
যে ব্যক্তি ছিয়াম রাখে, ছালাত আদায় করে এবং ই‘তিকাফ করে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী পসন্দনীয়, নাকি যে বিদ‘আতীদের সম্পর্কে কথা বলে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী প্রিয়’? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই ব্যক্তি যখন ছালাত-ছিয়াম ও ই‘তিকাফে রত থাকে, তখন সেই আমলটা শুধু তার নিজের জন্যই সম্পাদিত হয়। কিন্তু যখন সে বিদ‘আতীর বিরুদ্ধে কথা বলে, তখন সেখানে গোটা মুসলিম জাতির কল্যাণ নিহিত থাকে। আর এটাই অধিকতর উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ’।
(ইবনে তাইমিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া, ২৮/২৩১।)
তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন খতিবের সমালোচনা যেন অবশ্যই সংশোধনমূলক ও ইনছাফপূর্ণ হয়। অর্থাৎ তিনি তার বক্তৃতা, লেখনি ও কর্মকান্ডে দ্বীনের ব্যাপারে যতটুকু ভুল করেছেন, কেবল ততটুকুর সমালোচনা করে সঠিক বিষয় পরিবেশন করা কর্তব্য। সেই সমালোচনা যেন কোনভাবেই হিংসামূলক এবং ব্যক্তিগত চরিত্রে আক্রমণমূলক না হয়ে যায়। এমন হ’লে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হবে।
প্রশ্ন নং ১০ ‣ ইসলাম শেখানোর উদ্দেশ্যে কার্টুন বানানো কি জায়েজ?
কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মRead more
কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মুশরিকদের দেব-দেবীগুলিকেও কার্টুনের সাথে সাদৃশ্যশীল মনে করে। মূর্তি- সংস্কৃতিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে। মূর্তিপূজারীদের অনেক মূর্তি কার্টুন সদৃশ। তাই এ ধরণের কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা দেয়া যাবে না। প্রাণীর ছবি আকার-আকৃতি যে নামই দেয়া হোক না কেন তা রসূলুল্লাহ (সাঃ) নিষিদ্ধ করেছেন। বাচ্চাদেরকে আক্বীদাহগতভাবে মূর্তি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তোলা প্রয়োজন। ইসলামের দিকনির্দেশনা ও স্মৃতিচিহ্ন গুলো যা অবিকৃত সংরক্ষিত আছে এবং ইসলামের সৌর্যবীর্য প্রমাণিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী গল্প আকারে সহজ ভাষায় রচনা করে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিলে ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
See lessমহান আল্লাহ বলেছেন,
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ ۗ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَىٰ وَلَٰكِن تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ.
তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ, হেদায়েত ও রহমত রয়েছে। (সূরা ইউসূফ আয়াত : ১১১)
প্রশ্ন নং ১১ ‣ বেনামাজি নেশাখোর ব্যক্তির টাকায় কেনা খাবার খাওয়া কি জায়েজ?
সালাত না পড়া এবং নেশা করা এটা তার আমলের ত্রুটি। তাদের টাকায় কেনা খাবার খাওয়া জায়েজ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমাRead more
সালাত না পড়া এবং নেশা করা এটা তার আমলের ত্রুটি। তাদের টাকায় কেনা খাবার খাওয়া জায়েজ।
See lessআব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়।
এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে পতিত হবে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম (বৈরূত : ১৪২২/২ ০০১) ২০১ পৃ.)।
রাসূল (ছাঃ) ইহূদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন ও তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন ।
তবে বিরত থাকা উত্তম। কেননা সে দুটি বড় ধরনের পাপে লিপ্ত। অথচ লাল কাপড় পরিহিত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম প্রদান করলে তিনি সালামের জওয়াব দেননি। কারণ তিনি লাল কাপড় পরিধান করা পুরুষদের জন্য পসন্দ করতেন না (হাকেম হা/৭৩৯৯; ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/১৩৫০, সনদ ছহীহ)।
প্রশ্ন নং ১২ ‣ কসরের সময়সীমা কত দিন?
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইলRead more
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইল ও সফরের সময়কাল ১৯ দিন পর্যন্ত কসর করার প্রমাণ রয়েছে। হাদীস নিম্নে দেয়া হলো:
See lessعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةَ عَشَرَ يَقْصُرُ، فَنَحْنُ إِذَا سَافَرْنَا تِسْعَةَ عَشَرَ قَصَرْنَا، وَإِنْ زِدْنَا أَتْمَمْنَا
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থানকালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ঊনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ আদায় করি। (সহিহ বুখারী তাওঃ পাবঃ হাঃ নং ১০৮০)
তবে সাময়িক থাকার নিয়ত থাকে কিন্তু কোন কারণে সফর অনেক দীর্ঘ হয়ে যায় তাহলে যতদিন থাকবে ততদিনই কসর করতে পারবে।
عن نافع، قال: أقام ابن عمر بأذربيجان ستة أشهر، أو قال: ستة عشرا شهراً يقصر الصلاة، وكان الثلج حبسهم، وكان يصلي ركعتين.
নাফি’ (রহ.) থেকে বর্ণিত: ইবনে উমর (রাঃ) আজারবাইজানে ছয় মাস অথবা ষোল মাস (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অবস্থান করেছিলেন এবং এই পুরো সময় কসর নামাজ আদায় করতেন।
তুষারপাতের কারণে তারা আটকা পড়েছিলেন, কিন্তু তবুও তিনি দুই রাকাত (কসর) নামাজই পড়তেন।
মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নম্বর: : 9360
ইমাম বুখারী, ইমাম মালিক এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও এই আমল উল্লেখ করেছেন।
যেহেতু তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়ত করেন নি বরং তুষার তাকে আটকে রেখেছিল।
عن أنس بن مالك أنه أقام بالشام سنتين يقصر الصلاة.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) শামে দুই বছর অবস্থান করেছিলেন এবং কসর নামাজ আদায় করেছিলেন।
المصنف لابن أبي شيبة
হাদীস বর্ণনা আছে ইবন কুদামার المغني গ্রন্থেও।
প্রশ্ন নং ১৩ ‣ ওযু করার পর কোনো জায়গা শুকনো থাকলে কি ওযু হবে?
ওযুর অঙ্গের মধ্যে এক চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ওযু হবে না। আর ঐ অজু দিয়ে সালাত হবেনা। ওযুর অঙ্গ ভেজা থাকা অবস্থায় যদি কোনো জায়গা শুষ্ক দেখা যায় তাহলে ভেজা অংশ থেকে হাত দ্বারা শুকনো অংশ ডলে দিলে ওযু হয়ে যাবে। কিন্তু ওযুর অঙ্গ শুকিয়ে গেলে নতুন করে ওযু করতে হবে। যেহেতু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাRead more
ওযুর অঙ্গের মধ্যে এক চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ওযু হবে না। আর ঐ অজু দিয়ে সালাত হবেনা। ওযুর অঙ্গ ভেজা থাকা অবস্থায় যদি কোনো জায়গা শুষ্ক দেখা যায় তাহলে ভেজা অংশ থেকে হাত দ্বারা শুকনো অংশ ডলে দিলে ওযু হয়ে যাবে। কিন্তু ওযুর অঙ্গ শুকিয়ে গেলে নতুন করে ওযু করতে হবে।
See lessযেহেতু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা কতক লোকের শুষ্ক গোড়ালি দেখে বলেছিলেন, “গোড়ালিগুলোর জন্য দোযখে ধ্বংস ও সর্বনাশ রয়েছে! তোমরা ভালরুপে (সকল অঙ্গকে সম্পূর্ণরুপে) ধুয়ে ওযু কর।” (মুসলিম, মিশকাত ৩৯৮নং)
এক ব্যক্তি ওযু করার পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে দেখলেন, তার দুই পায়ে নখ পরিমাণ জায়গা শুষ্ক রয়েছে। তিনি তাকে বললেন, “তুমি ফিরে গিয়ে ভালরুপে ওযু করে এস।” (আবূ দাঊদ, সুনান ১৫৮নং)
প্রশ্ন নং ১৪ ‣ জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কারও গীবত করা কি জায়েজ?
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন তাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচRead more
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন
See lessতাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচানোর জন্য তার অনুপিস্থিতিতে তার ত্রুটি বর্ণনা করা গীবত নয়। ইমাম নববী গীবত থেকে যে ৬টি বিষয়কে আলাদা করেছেন এটা হল তার একটি।
হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, বিদ‘আতী ব্যক্তির সমালোচনা করা হারাম গীবতের পর্যায়ভুক্ত নয়।
(হেবাতুল্লাহ লালকাঈ, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ১/১৫৮।)
একবার আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল,
الرجل يصوم ويصلي ويعتكف أحب إليك أو يتكلم في أهل البدع؟ ‘
যে ব্যক্তি ছিয়াম রাখে, ছালাত আদায় করে এবং ই‘তিকাফ করে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী পসন্দনীয়, নাকি যে বিদ‘আতীদের সম্পর্কে কথা বলে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী প্রিয়’? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই ব্যক্তি যখন ছালাত-ছিয়াম ও ই‘তিকাফে রত থাকে, তখন সেই আমলটা শুধু তার নিজের জন্যই সম্পাদিত হয়। কিন্তু যখন সে বিদ‘আতীর বিরুদ্ধে কথা বলে, তখন সেখানে গোটা মুসলিম জাতির কল্যাণ নিহিত থাকে। আর এটাই অধিকতর উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ’।
(ইবনে তাইমিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া, ২৮/২৩১।)
তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন খতিবের সমালোচনা যেন অবশ্যই সংশোধনমূলক ও ইনছাফপূর্ণ হয়। অর্থাৎ তিনি তার বক্তৃতা, লেখনি ও কর্মকান্ডে দ্বীনের ব্যাপারে যতটুকু ভুল করেছেন, কেবল ততটুকুর সমালোচনা করে সঠিক বিষয় পরিবেশন করা কর্তব্য। সেই সমালোচনা যেন কোনভাবেই হিংসামূলক এবং ব্যক্তিগত চরিত্রে আক্রমণমূলক না হয়ে যায়। এমন হ’লে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হবে।