চুল পাকা সাধারণত বয়স বৃদ্ধি পাওয়ারই আালামত। তবে কারো কারো অল্প বয়সেও চুল পেকে যায়। মুমিনের সব সময়ই মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন। চুল পাকলে পরপারে যাওয়ার নোটিশ মনে করে প্রস্তুতি আরো বাড়ি দেয়া প্রয়োজন। তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ঘটনাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। বিশেষ দ্রষ্টব্য: পাকা চুল ও দাড়িRead more
চুল পাকা সাধারণত বয়স বৃদ্ধি পাওয়ারই আালামত। তবে কারো কারো অল্প বয়সেও চুল পেকে যায়। মুমিনের সব সময়ই মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন। চুল পাকলে পরপারে যাওয়ার নোটিশ মনে করে প্রস্তুতি আরো বাড়ি দেয়া প্রয়োজন। তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ঘটনাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পাকা চুল ও দাড়ি উঠানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল তুলে ফেলো না। কেননা পাকা চুল হ’ল মুসলমানের জ্যোতি। কোন মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লিখেন, একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার একটি পাপ মোচন করেন। (নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৫৮ ‘সনদ হাসান’)।
আকীকা ৭ম দিনে দেওয়ায় নিয়ম। তবে সঙ্গত কোন কারণে যদি সময়মত করা সম্ভব না হয়, পরবর্তীতে সুযোগ মত যেকোন সময় তা আদায় করবে (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওদূদ ৬৩ পৃঃ; আলবানী, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং- ১৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ১৭৭৬; মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ২৫/২১৫)। শাফেঈ বিদ্বানগণেরRead more
আকীকা ৭ম দিনে দেওয়ায় নিয়ম। তবে সঙ্গত কোন কারণে যদি সময়মত করা সম্ভব না হয়, পরবর্তীতে সুযোগ মত যেকোন সময় তা আদায় করবে (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওদূদ ৬৩ পৃঃ; আলবানী, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং- ১৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ১৭৭৬; মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ২৫/২১৫)।
শাফেঈ বিদ্বানগণের মতে সাত দিনে আক্বীক্বার বিষয়টি সীমা নির্দেশ মূলক নয় বরং এখতিয়ার মূলক। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, সাত দিনে আকীকার অর্থ হ’ল, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আকীকা করবে না (নায়লুল আওত্বার ৬/২৬১ পৃঃ)।
সুতরাং এখন আকীকা দিতে পারবে। তবে যদি আকীকা না দেন তাহলে গুনাহগার হবেন না। কারণ সে সময় উনি অক্ষম ছিলেন। আর অক্ষম ব্যক্তি উপর আকীকা আবশ্যক নয়।
এ ধরনের প্রতিষ্ঠান মূলত সেবামূলক সংস্থা। এতে চাকরী করাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন এই সংস্থার সাথে খৃষ্টান মিশনারীদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তারা মিশনারীর চিন্তা থেকে অনেক কাজ করে থাকে এবং অনেক ক্ষতিকর ভ্যাক্সিন তারা তৈরী করে মুসলিম বাচ্চাদের উপর প্রয়োগ করে। এটা তাদের ইসলাম বিদ্বেষের কারRead more
এ ধরনের প্রতিষ্ঠান মূলত সেবামূলক সংস্থা। এতে চাকরী করাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন এই সংস্থার সাথে খৃষ্টান মিশনারীদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তারা মিশনারীর চিন্তা থেকে অনেক কাজ করে থাকে এবং অনেক ক্ষতিকর ভ্যাক্সিন তারা তৈরী করে মুসলিম বাচ্চাদের উপর প্রয়োগ করে। এটা তাদের ইসলাম বিদ্বেষের কারণে এজন্য চাকরী করলেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ : قَنَتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلَاةِ الْعَتَمَةِ شَهْرًا يَقُولُ فِي قُنُوتِهِ ” اللَّهُمَّ نَجِّ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، اللَّهُمَّ نَجِّ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، اللَّهُمَّ نَجِّ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ”. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ : وَأَصْبَحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَلَمْ يَدْعُ لَهُمْ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ” وَمَا تَرَاهُمْ قَدْ قَدِمُوا
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস পর্যন্ত ‘ইশার সলাতে দু‘আ কুনূত পাঠ করেছেন। তিনি কুনূতে বলেছেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীকে মুক্ত করুন! হে আল্লাহ! সালামাহ ইবনু হিশামকে মুক্ত করুন! হে আল্লাহ! দুর্বল মুমিনদেরকে মুক্তি দিন! হে আল্লাহ! মুদার গোত্রের উপর আপনি কঠোর হোন! হে আল্লাহ! তাদের উপর এমন দুর্ভিক্ষ দিন যেমন দুর্ভিক্ষ দিয়েছিলেন ইউসুফ (আ)-এর যুগে।’’ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, একদিন ভোরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর দুর্বল ও নির্যাতিত মুমিনদের জন্য দু‘আ না করায় আমি তাকে তা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেনঃ তুমি কি তাদেরকে (নির্যাতিত মুসলিমদের) দেখছো না যে, তারা মাদীনায় ফিরে এসেছে? (সুনান আবু দাউদ তাহাকিক আলবানী হাদিস নং ১৪৪২)
আমভাবেও মুসলিমদের জন্য দু’আ করা যায় এবং কাফিরদের জন্য বদ দু’আ করা যায় এবং নিজের জন্য দু’আ করা যায়।
সুদ দাতা, গ্রহীতা, লেখক, সাক্ষী এরা সকলেই সুনিশ্চিতভাবে হারামের সাথে রয়েছে। ইবাদাত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো জীবিকা হালাল হওয়া। সূদ ভক্ষণকারীর ইবাদাত কবুল হয় না। এ মর্মে রাসূল সা. বলেন: «إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْRead more
সুদ দাতা, গ্রহীতা, লেখক, সাক্ষী এরা সকলেই সুনিশ্চিতভাবে হারামের সাথে রয়েছে। ইবাদাত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো জীবিকা হালাল হওয়া। সূদ ভক্ষণকারীর ইবাদাত কবুল হয় না।
এ মর্মে রাসূল সা. বলেন:
«إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ) [المؤمنون: 51] وَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ) [البقرة: 172] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟»
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআল পবিত্র। তিনি শুধু পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন। তিনি মুমিনদের সেই আদেশই দিয়েছেন, যে আদেশ তিনি দিয়েছিলেন রাসূলগণের।’’ আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি।’’ অতঃপর রাসূল সা. এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফরে থাকা অবস্থায় এলোমেলো চুল ও ধূলি-ধুসরিত ক্লান্ত-শ্রান্ত বদনে আকাশের দিকে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করে ডাকছেঃ হে আমার প্রভূ! হে আমার প্রভূ! অথচ সে যা খায় তা হারাম, যা পান করে তা হারাম, যা পরিধান করে তা হারাম এবং হারামের দ্বারা সে পুষ্টি অর্জন করে। তার প্রার্থনা কিভাবে কবুল হবে?’’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১০১৫।)
তাই বলে কাউকে ইবাদাত থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা যাবে না। ইবাদাত করতে থাকলে হয়তো কোনো সময়ে হারাম পথ ছেড়ে দেয়ার সুযোগ হতে পারে।
বর্তমান বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থা সুদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা। আমাদের দেশও সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রেখেছে। সেহেতু সূদ থেকে বাঁচতে হলে সরকার সংক্রান্ত কোনো কিছুর সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সরাসরি সূদ থেকে বাঁচতে হলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে পারিশ্রমিক লাভ করা, কৃষিভিত্তিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া অথবা সরাসরি বৈধ পণ্য কেনা-বেচার ব্যবসা করা ইত্যাদির মাধ্যমে হালাল উপার্জনের চেষ্টা করা প্রয়োজন।
তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«كسب الحلال فريضة بعد الفريضة »
‘‘ফরয আদায়ের পর হালাল পন্থায় উপার্জনও ফরয।’
(আবূ বকর আহমদ ইবনুল হুসাইন আল-বায়হাকী, সুনান আল-বায়হাকী, সম্পাদনায়: আব্দুল কাদির আতা (মক্কা আল-মুকাররমা: মাকতাবাতু দারুল বায, ১৪১৪ হি/১৯৯৪ খ্রী.) খ. ৬, পৃ. ১২৮।)
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৭৮ وَمِنۡہُمۡ اُمِّیُّوۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ الۡکِتٰبَ اِلَّاۤ اَمَانِیَّ وَاِنۡ ہُمۡ اِلَّا یَظُنُّوۡنَ অর্থঃ তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। উক্ত আয়াতে ইয়াহুদীদের যারা নিরক্ষর- কিRead more
অর্থঃ তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
উক্ত আয়াতে ইয়াহুদীদের যারা নিরক্ষর- কিতাবের জ্ঞান ছিল না। তাদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। তাদের ছিল মিথ্যা কল্পনা যে, আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করবেন। আমরা জান্নাতে যাবই, যদি জাহান্নামে যেতেও হয় তাহলে তা হবে হাতে গোনা কয়দিন। প্রশ্নে যে বৈশিষ্টের লোকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের চিন্তা-চেতনা ইয়াহুদী-নিরক্ষরদের চিন্তা-চেতনার সাথে সামঞ্জস্যশীল। আল্লাহর হুকুম ও রাসূল (সঃ) এর তরিকা জানার জন্য চেষ্টা করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ।
হাদিসে এসেছে,
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’ইলম বা জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয।
(ইবনু মাজাহ্ ২২৪, সহীহুল জামি‘ ৩৯১৩, মিশকাত ২১৮)
এ ফরজ লংঘন করলে আর কোনো ফরজই নির্ভুলভাবে সম্পাদন করার সুযোগ থাকে না।
তাই যারা সাংসারিক ব্যস্ততা দেখিয়ে ইলম অর্জন ও সহীহ আমলের প্রচেষ্টা থেকেও সরে পড়ার চেষ্টা করে, তারা মূলত শয়তানের ধোঁকায় পতিত। শয়তান তাদের সামনে দুনিয়ার জীবনকে চাকচিক্যময় করে তুলেছে। তাই তারা দুনিয়ার মোহে পতিত হয়ে দ্বীনের পথে চেষ্টা করার প্রয়োজনীয়তাও অন্তর থেকে হারিয়ে ফেলেছে। তাই তাদের উচিত হল, অতীতের ভুলের জন্য তাওবাহ করে দ্বীনি ইলম অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা ও বেশি করে ইবাদাতে নিয়োজিত হওয়া প্রয়োজন।
তাওহীদ সংক্রান্ত ইলম ও ফরজ ইবাদাত সমূহ সংক্রান্ত ইলম অর্জন করাকে যদি কেউ অপ্রয়োজন মনে করে এবং এ থেকে গাফেল থাকে, এমতাবস্থায় অজ্ঞতাবশত: কোনো শিরকী আক্বীদাহ পোষণ করলে তার ঈমান ভঙ্গ হয়ে যাবে। ইবাদাতের ক্ষেত্রেও যদি সে কোনো বিদআতে লিপ্ত হয় তাহলে ইবাদাত বাতিল বলে গণ্য হবে। উভয় ক্ষেত্রে অজ্ঞতা অজুহাত হিসেবে গণ্য হবে না। তাই দ্বীনি ইলম অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা ঈমান ও আমল রক্ষা করার জন্যে সকল মুমিন নারী পুরুষের অপরিহার্য দায়িত্ব। কোনো অজুহাতেই কেউ এ দায়িত্ব হতে অব্যাহতি পেতে পারে না।
কারেন্টের মিটার "নামানো" বলতে সাধারণত মিটার পরীক্ষা বা পরিবর্তন করা বোঝায়। সে যেহেতু ১৫০০ টাকা খরচ করে ৩০০০ টাকা নিচ্ছে তাই এটা নেওয়া জুলুম হবে। কারণ সেখানে যদি তার পারিশ্রমিক ৫০০ টাকার হয় তাহলে সে খরচ ও পারিশ্রমিক মিলে ২০০০ টাকা নিতে পারে এটা তার জন্য হালাল ও অধিকার । তবে বর্তমান সময়ে পারিশ্রমিকRead more
কারেন্টের মিটার “নামানো” বলতে সাধারণত মিটার পরীক্ষা বা পরিবর্তন করা বোঝায়। সে যেহেতু ১৫০০ টাকা খরচ করে ৩০০০ টাকা নিচ্ছে তাই এটা নেওয়া জুলুম হবে। কারণ সেখানে যদি তার পারিশ্রমিক ৫০০ টাকার হয় তাহলে সে খরচ ও পারিশ্রমিক মিলে ২০০০ টাকা নিতে পারে এটা তার জন্য হালাল ও অধিকার । তবে বর্তমান সময়ে পারিশ্রমিক সহ ১৫০০ টাকার বেশি নয়। সুতরাং প্রতারণা করে সে ৩০০০ টাকা নিলে সেটা জুলুমের মধ্যে পড়বে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
اتَّقُوا الظُّلْمَ، فَإِنّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থাকো! কেননা জুলুম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকার হয়ে দেখা দেবে। (সহীহুল বুখারী ২৪৪৭; সহীহ মুসলিম ২৫৭৯)
হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي، وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا، فَلَا تَظَالَمُوا.
হে আমার বান্দাগণ! আমি জুলুম করাকে নিজের প্রতি হারাম করেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করে দিয়েছি। সুতরাং একে-অন্যের প্রতি জুলুম করো না। (সহীহ মুসলিম ২৫৭৭; জামে তিরমিযী ২৪৯২)
মুসলিমদের ব্যাপারে প্রথমত সুধারণা পোষণ করা দরকার। ব্যক্তিগতভাবে কারো উপার্জনের ব্যাপারে খোঁজ খবর করা উচিত নয়। কারো ইনকাম যদি প্রকাশ্যভাবে নিশ্চিত হারাম হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে তার খাবার না খাওয়া উত্তম। কারণ লাল কাপড় পরিহিত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম প্রদান করলে তিনি সালামের জওয়াব দেননি। কRead more
মুসলিমদের ব্যাপারে প্রথমত সুধারণা পোষণ করা দরকার। ব্যক্তিগতভাবে কারো উপার্জনের ব্যাপারে খোঁজ খবর করা উচিত নয়। কারো ইনকাম যদি প্রকাশ্যভাবে নিশ্চিত হারাম হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে তার খাবার না খাওয়া উত্তম। কারণ লাল কাপড় পরিহিত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম প্রদান করলে তিনি সালামের জওয়াব দেননি। কেননা তিনি লাল কাপড় পরিধান করা পুরুষদের জন্য পসন্দ করতেন না (হাকেম হা/৭৩৯৯; ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/১৩৫০, সনদ ছহীহ)।
শুধু ধারণা করেই কারো ইনকাম হারাম এটা বলা যাবে না। এটা ইমাম হোক বা যে কোনো মুসলিম সকলের জন্যই একই বিধান।
তবে এই দাওয়াত খাওয়া হারাম নয় বরং হালাল বা বৈধ।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়।
এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে পতিত হবে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম (বৈরূত : ১৪২২/২ ০০১) ২০১ পৃ.)।
রাসূল (ছাঃ) ইহূদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন ও তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন ।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহুদী মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে বিষ মিশানো বকরী নিয়ে এলো। সেখান থেকে কিছু অংশ তিনি খেলেন এবং (বিষক্রিয়া টের পেয়ে) মহিলাকে হাযির করা হল। তখন বলা হল, আপনি কি একে হত্যার আদেশ দিবেন না? তিনি বললেন, না। আনাস (রাঃ) বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (মুখ গহবরের) তালুতে আমি বরাবরই বিষক্রিয়ার আলামত দেখতে পেতাম। (বুখারী হা/২৬১৫-১৮, আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৫৯৩১)।
আর ইহুদীরা সুদ খেত। সুতরাং হারাম উপার্জন কারীর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া যাবে।
সুতরাং আত্মীয়তার হক আদায়ের উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে যাওয়া ও খাওয়া যেতে পারে তবে তাকে হারাম থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করবে। নইলে সত্বর আল্লাহ তোমাদের উপর গযব প্রেরণ করবেন। আর তখন তোমরা দো‘আ করবে। কিন্তু তা কবুল করা হবে না (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫১৪০)।
মোবাইলে টাকা ধার নিলে যে দুই টাকা বেশি কাটে সেটা সুদ হিসাবে গণ্য হবে। হাদিসে এসেছে, عن أبي بكرة رضي الله عنه قال: «نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الفضة بالفضة، والذهب بالذهب، إلا سَوَاءً بسوَاءٍ، وأمرنا أن نشتري الفضة بالذهب، كيف شئنا. ونشتري الذهب بالفضة كيف شئنا، قال: فسأله رجل فقال: يدا بيد؟Read more
মোবাইলে টাকা ধার নিলে যে দুই টাকা বেশি কাটে সেটা সুদ হিসাবে গণ্য হবে।
হাদিসে এসেছে,
عن أبي بكرة رضي الله عنه قال: «نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الفضة بالفضة، والذهب بالذهب، إلا سَوَاءً بسوَاءٍ، وأمرنا أن نشتري الفضة بالذهب، كيف شئنا. ونشتري الذهب بالفضة كيف شئنا، قال: فسأله رجل فقال: يدا بيد؟ فقال: هكذا سمعت». – [متفق عليه]
আবূ বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য ও স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ সমান সমান ব্যতিরেকে ক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আমরা যেভাবে চাই সেভাবে তিনি স্বর্ণের বিনিময়ে রৌপ্য এবং রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ ক্রয় করার অনুমতি দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতপরঃ এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “হাতে হাতে (নগদ নগদ)?” তিনি বললেন, “এরূপই আমি শুনেছি।” (বুখারী ও মুসলিম)।
অপর হাদিসে এসেছে,
যে কোনো ঋণ যা কোনো লাভ এনে দেয়, তা সুদ।
সুদ হিসেবে গণ্য হওয়ার কারণ: ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে, আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণের মতো গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে যখন আপনি টাকা রিচার্জ করেন, তখন অপারেটর সেই ঋণের উপর অতিরিক্ত কিছু টাকা কেটে নেয়। যেমন, ১৮ টাকা লোন নিলে ২০ টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে। এই অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে সুদ হিসেবে গণ্য হয়।
টাকা ঋণ দিয়ে ঋণের উপর অতিরিক্ত নেওয়াটা সূদ। এটা মোবাইল কোম্পানীই হোক আর অন্য যে কেউ হোক। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সকলের জন্যই ঋণ দিয়ে অতিরিক্ত নেওয়া সূদ হিসেবে গণ্য হবে।
দেশের প্রচলিত সকল ব্যাংক” বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে চালাচ্ছে। সাধারণ ব্যাংকিং ও ইসলামী ব্যাংকিং এর মধ্যে যে তফাৎ আছে তা মূলত কাগজ-পত্রের মধ্যেই। বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যাবধান খুব কম। প্রথম দিকে ইসলামী ব্যাংক ঘোষণা মাফিক শরীয়াহ মোতাবেক চালানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু যারা গ্রাহক তারাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুযোগ নিয়ে ইসলামী ব্যাংককে বেকাদায় ফেলার চেষ্টা করেছে। যেমন: বাইয়ে মুযাযযাল পদ্ধতিতে বিনিয়োগ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করে নির্দিষ্ট মেয়াদের চেয়েও ২/৩ গুন সময় দেরি করছে। অথচ ব্যাংক টাকার পরিমাণ বাড়াতে পারছেনা, পরবর্তীতে পেনাল্টি চার্জ করার সুযোগ হয়েছে এবং ব্যাংকের সকল ব্রাঞ্জ ম্যানেজারসহ ইসলামী শরীইয়াহ সম্পর্কে অভিজ্ঞ না হওয়ায় কাগজে লিখিত শর্তগুলো কাগজেই থেকে যায় বাস্তবায়িত হয় না। এজন্য সাধারণভাবে সুদভিত্তিক অর্থনীতির অধীনে সূদমুক্ত ব্যাংকিং চালানো বলতে গেলে সম্ভব নয়। তাই ইসলামী ব্যাংকগুলোকে সম্পূর্ণ সুদমুক্ত – এটা বলার অবকাশ নেই। তাই ব্যাংকের সাথে যথাসম্ভব লেনদেন এড়িয়ে চলতে হবে। তবে ব্যাংক এ বেতন উঠানো বা টাকা পাঠানো ইত্যাদি প্রয়োজন সাপেক্ষে করতে পারেন। আর ব্যাংকে যদি অ্যাকাউন্ট খুলা ছাড়া ও টাকা জমা রাখা ছাড়া উপায় না থাকে তাহলে কারেন্ট অ্যাক্যান্ট খুলতে পারেন। যেখানে আপনার টাকা তারা জমা রাখবে আমানত হিসাবে এবং আপনাকে কোন মুনাফা দিবেনা।
আপনার টাকা আপনি যে কোন সময় উঠাতে পারবেন।
মহান আল্লাহ বলেন,
لّٰهِ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ .
কিন্তু যে নিরূপায় অথচ নাফরমান এবং সীমালংঘনকারী নয় তার কোন পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ( সূরা বাকারা ২: ১৭৩)
মহান আল্লাহ আরোও বলেন,
তবে কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ নিশ্চয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
[সূরা আল-মায়েদাহ: ৩]
পেশাব করার পর অজুর শেষে সামনের দিকের কাপড়ে অল্প পানির ছিটা দিয়ে দেওয়া মুস্তাহাব । কাপড় পাক করার জন্য নয়। ওযুর পর লজ্জাস্থানে পানি ছিটানোর নিয়ম হলো, ওযুর শেষে হাতে পানি নিয়ে পেশাবের জায়গায় কাপড়ের উপর হালকাভাবে এই পানি ছিটিয়ে দেওয়া। হাদীস থেকে দলীল: عَنْ سُفْيَانَ بْنِ الْحَكَمِ الثَّقَفِيِّ، أَRead more
পেশাব করার পর অজুর শেষে সামনের দিকের কাপড়ে অল্প পানির ছিটা দিয়ে দেওয়া মুস্তাহাব । কাপড় পাক করার জন্য নয়। ওযুর পর লজ্জাস্থানে পানি ছিটানোর নিয়ম হলো, ওযুর শেষে হাতে পানি নিয়ে পেশাবের জায়গায় কাপড়ের উপর হালকাভাবে এই পানি ছিটিয়ে দেওয়া।
হাদীস থেকে দলীল:
عَنْ سُفْيَانَ بْنِ الْحَكَمِ الثَّقَفِيِّ، أَوِ الْحَكَمِ بْنِ سُفْيَانَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَالَ يَتَوَضَّأُ وَيَنْتَضِحُ .
সুফিয়ান ইবনুল হাকাম আছ্-ছাকাফী অথবা হাকাম ইবনু সুফিয়ান আছ্-ছাকাফী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখনই পেশাব করতেন, তখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন এবং উযূর পানি ছিটাতেন।
(সুনান আবূ দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৬৬ হাদীসটি সহীহ)
অপর হাদিসে এসেছে,
عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .
হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান।
(সুনান আবূ দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৬৮, হাদীসটি সহীহ)
প্রশ্ন নং ২৮ ‣ কারও চুল পাকলে কি মরণের চিঠি আসে?
চুল পাকা সাধারণত বয়স বৃদ্ধি পাওয়ারই আালামত। তবে কারো কারো অল্প বয়সেও চুল পেকে যায়। মুমিনের সব সময়ই মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন। চুল পাকলে পরপারে যাওয়ার নোটিশ মনে করে প্রস্তুতি আরো বাড়ি দেয়া প্রয়োজন। তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ঘটনাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। বিশেষ দ্রষ্টব্য: পাকা চুল ও দাড়িRead more
চুল পাকা সাধারণত বয়স বৃদ্ধি পাওয়ারই আালামত। তবে কারো কারো অল্প বয়সেও চুল পেকে যায়। মুমিনের সব সময়ই মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন। চুল পাকলে পরপারে যাওয়ার নোটিশ মনে করে প্রস্তুতি আরো বাড়ি দেয়া প্রয়োজন। তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ঘটনাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
See lessবিশেষ দ্রষ্টব্য: পাকা চুল ও দাড়ি উঠানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল তুলে ফেলো না। কেননা পাকা চুল হ’ল মুসলমানের জ্যোতি। কোন মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লিখেন, একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার একটি পাপ মোচন করেন। (নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৫৮ ‘সনদ হাসান’)।
প্রশ্ন নং ২৭ ‣ সপ্তম দিনে আকীকা দিতে অক্ষম হলে পরবর্তীতে দেওয়া যাবে কি?
আকীকা ৭ম দিনে দেওয়ায় নিয়ম। তবে সঙ্গত কোন কারণে যদি সময়মত করা সম্ভব না হয়, পরবর্তীতে সুযোগ মত যেকোন সময় তা আদায় করবে (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওদূদ ৬৩ পৃঃ; আলবানী, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং- ১৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ১৭৭৬; মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ২৫/২১৫)। শাফেঈ বিদ্বানগণেরRead more
আকীকা ৭ম দিনে দেওয়ায় নিয়ম। তবে সঙ্গত কোন কারণে যদি সময়মত করা সম্ভব না হয়, পরবর্তীতে সুযোগ মত যেকোন সময় তা আদায় করবে (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওদূদ ৬৩ পৃঃ; আলবানী, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং- ১৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ১৭৭৬; মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ২৫/২১৫)।
See lessশাফেঈ বিদ্বানগণের মতে সাত দিনে আক্বীক্বার বিষয়টি সীমা নির্দেশ মূলক নয় বরং এখতিয়ার মূলক। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, সাত দিনে আকীকার অর্থ হ’ল, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আকীকা করবে না (নায়লুল আওত্বার ৬/২৬১ পৃঃ)।
সুতরাং এখন আকীকা দিতে পারবে। তবে যদি আকীকা না দেন তাহলে গুনাহগার হবেন না। কারণ সে সময় উনি অক্ষম ছিলেন। আর অক্ষম ব্যক্তি উপর আকীকা আবশ্যক নয়।
প্রশ্ন নং ২৬ ‣ NGO তে চাকুরী করা কি জায়েজ হবে?
এ ধরনের প্রতিষ্ঠান মূলত সেবামূলক সংস্থা। এতে চাকরী করাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন এই সংস্থার সাথে খৃষ্টান মিশনারীদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তারা মিশনারীর চিন্তা থেকে অনেক কাজ করে থাকে এবং অনেক ক্ষতিকর ভ্যাক্সিন তারা তৈরী করে মুসলিম বাচ্চাদের উপর প্রয়োগ করে। এটা তাদের ইসলাম বিদ্বেষের কারRead more
এ ধরনের প্রতিষ্ঠান মূলত সেবামূলক সংস্থা। এতে চাকরী করাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন এই সংস্থার সাথে খৃষ্টান মিশনারীদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তারা মিশনারীর চিন্তা থেকে অনেক কাজ করে থাকে এবং অনেক ক্ষতিকর ভ্যাক্সিন তারা তৈরী করে মুসলিম বাচ্চাদের উপর প্রয়োগ করে। এটা তাদের ইসলাম বিদ্বেষের কারণে এজন্য চাকরী করলেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
See lessপ্রশ্ন নং ২৫ ‣ কুনুতে নাজেলা কী, এটি কখন পড়তে হয়?
কোনো বিপদে পতিত হলে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য কূনুতে নাযেলাহ পড়তে হয়। কূনুতে নাযেলাহ নিম্নরুপঃ للَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا ، وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ ، وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ ، وَانْصُرْهُمْ عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ ، اللّRead more
কোনো বিপদে পতিত হলে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য কূনুতে নাযেলাহ পড়তে হয়। কূনুতে নাযেলাহ নিম্নরুপঃ
للَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا ، وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ ، وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ ، وَانْصُرْهُمْ عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ ، اللَّهُمَّ الْعَنْ كَفَرَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ الَّذِينَ يَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِكَ ، وَيُكَذِّبُونَ رُسُلَكَ ، وَيُقَاتِلُونَ أَوْلِيَاءَكَ اللَّهُمَّ خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمَ ، وَزَلْزِلْ أَقْدَامَهُمْ ، وَأَنْزِلْ بِهِمْ بَأْسَكَ الَّذِى لاَ تَرُدُّهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِينَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُثْنِى عَلَيْكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ ، وَلَكَ نُصَلِّى وَنَسْجُدُ ، وَلَكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ ، نَخْشَى عَذَابَكَ الْجَدَّ ، وَنَرْجُو رَحْمَتَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكَافِرِينَ مُلْحَقٌ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ : قَنَتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلَاةِ الْعَتَمَةِ شَهْرًا يَقُولُ فِي قُنُوتِهِ ” اللَّهُمَّ نَجِّ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، اللَّهُمَّ نَجِّ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، اللَّهُمَّ نَجِّ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ”. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ : وَأَصْبَحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَلَمْ يَدْعُ لَهُمْ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ” وَمَا تَرَاهُمْ قَدْ قَدِمُوا
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস পর্যন্ত ‘ইশার সলাতে দু‘আ কুনূত পাঠ করেছেন। তিনি কুনূতে বলেছেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীকে মুক্ত করুন! হে আল্লাহ! সালামাহ ইবনু হিশামকে মুক্ত করুন! হে আল্লাহ! দুর্বল মুমিনদেরকে মুক্তি দিন! হে আল্লাহ! মুদার গোত্রের উপর আপনি কঠোর হোন! হে আল্লাহ! তাদের উপর এমন দুর্ভিক্ষ দিন যেমন দুর্ভিক্ষ দিয়েছিলেন ইউসুফ (আ)-এর যুগে।’’ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, একদিন ভোরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর দুর্বল ও নির্যাতিত মুমিনদের জন্য দু‘আ না করায় আমি তাকে তা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেনঃ তুমি কি তাদেরকে (নির্যাতিত মুসলিমদের) দেখছো না যে, তারা মাদীনায় ফিরে এসেছে? (সুনান আবু দাউদ তাহাকিক আলবানী হাদিস নং ১৪৪২)
See lessআমভাবেও মুসলিমদের জন্য দু’আ করা যায় এবং কাফিরদের জন্য বদ দু’আ করা যায় এবং নিজের জন্য দু’আ করা যায়।
প্রশ্ন নং ২৪ ‣ সুদের সাথে লিপ্ত ব্যক্তির আমল কতটুকু গ্রহণযোগ্য?
সুদ দাতা, গ্রহীতা, লেখক, সাক্ষী এরা সকলেই সুনিশ্চিতভাবে হারামের সাথে রয়েছে। ইবাদাত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো জীবিকা হালাল হওয়া। সূদ ভক্ষণকারীর ইবাদাত কবুল হয় না। এ মর্মে রাসূল সা. বলেন: «إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْRead more
সুদ দাতা, গ্রহীতা, লেখক, সাক্ষী এরা সকলেই সুনিশ্চিতভাবে হারামের সাথে রয়েছে। ইবাদাত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো জীবিকা হালাল হওয়া। সূদ ভক্ষণকারীর ইবাদাত কবুল হয় না।
See lessএ মর্মে রাসূল সা. বলেন:
«إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ) [المؤمنون: 51] وَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ) [البقرة: 172] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟»
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআল পবিত্র। তিনি শুধু পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন। তিনি মুমিনদের সেই আদেশই দিয়েছেন, যে আদেশ তিনি দিয়েছিলেন রাসূলগণের।’’ আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি।’’ অতঃপর রাসূল সা. এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফরে থাকা অবস্থায় এলোমেলো চুল ও ধূলি-ধুসরিত ক্লান্ত-শ্রান্ত বদনে আকাশের দিকে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করে ডাকছেঃ হে আমার প্রভূ! হে আমার প্রভূ! অথচ সে যা খায় তা হারাম, যা পান করে তা হারাম, যা পরিধান করে তা হারাম এবং হারামের দ্বারা সে পুষ্টি অর্জন করে। তার প্রার্থনা কিভাবে কবুল হবে?’’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১০১৫।)
তাই বলে কাউকে ইবাদাত থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা যাবে না। ইবাদাত করতে থাকলে হয়তো কোনো সময়ে হারাম পথ ছেড়ে দেয়ার সুযোগ হতে পারে।
বর্তমান বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থা সুদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা। আমাদের দেশও সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রেখেছে। সেহেতু সূদ থেকে বাঁচতে হলে সরকার সংক্রান্ত কোনো কিছুর সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সরাসরি সূদ থেকে বাঁচতে হলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে পারিশ্রমিক লাভ করা, কৃষিভিত্তিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া অথবা সরাসরি বৈধ পণ্য কেনা-বেচার ব্যবসা করা ইত্যাদির মাধ্যমে হালাল উপার্জনের চেষ্টা করা প্রয়োজন।
তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«كسب الحلال فريضة بعد الفريضة »
‘‘ফরয আদায়ের পর হালাল পন্থায় উপার্জনও ফরয।’
(আবূ বকর আহমদ ইবনুল হুসাইন আল-বায়হাকী, সুনান আল-বায়হাকী, সম্পাদনায়: আব্দুল কাদির আতা (মক্কা আল-মুকাররমা: মাকতাবাতু দারুল বায, ১৪১৪ হি/১৯৯৪ খ্রী.) খ. ৬, পৃ. ১২৮।)
প্রশ্ন নং ২৩ ‣ সাংসারিক ব্যস্ততায় দ্বীনি ইলম অর্জন না করা।
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৭৮ وَمِنۡہُمۡ اُمِّیُّوۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ الۡکِتٰبَ اِلَّاۤ اَمَانِیَّ وَاِنۡ ہُمۡ اِلَّا یَظُنُّوۡنَ অর্থঃ তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। উক্ত আয়াতে ইয়াহুদীদের যারা নিরক্ষর- কিRead more
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৭৮
وَمِنۡہُمۡ اُمِّیُّوۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ الۡکِتٰبَ اِلَّاۤ اَمَانِیَّ وَاِنۡ ہُمۡ اِلَّا یَظُنُّوۡنَ
অর্থঃ তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
উক্ত আয়াতে ইয়াহুদীদের যারা নিরক্ষর- কিতাবের জ্ঞান ছিল না। তাদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। তাদের ছিল মিথ্যা কল্পনা যে, আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করবেন। আমরা জান্নাতে যাবই, যদি জাহান্নামে যেতেও হয় তাহলে তা হবে হাতে গোনা কয়দিন। প্রশ্নে যে বৈশিষ্টের লোকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের চিন্তা-চেতনা ইয়াহুদী-নিরক্ষরদের চিন্তা-চেতনার সাথে সামঞ্জস্যশীল। আল্লাহর হুকুম ও রাসূল (সঃ) এর তরিকা জানার জন্য চেষ্টা করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ।
হাদিসে এসেছে,
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’ইলম বা জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয।
(ইবনু মাজাহ্ ২২৪, সহীহুল জামি‘ ৩৯১৩, মিশকাত ২১৮)
এ ফরজ লংঘন করলে আর কোনো ফরজই নির্ভুলভাবে সম্পাদন করার সুযোগ থাকে না।
তাই যারা সাংসারিক ব্যস্ততা দেখিয়ে ইলম অর্জন ও সহীহ আমলের প্রচেষ্টা থেকেও সরে পড়ার চেষ্টা করে, তারা মূলত শয়তানের ধোঁকায় পতিত। শয়তান তাদের সামনে দুনিয়ার জীবনকে চাকচিক্যময় করে তুলেছে। তাই তারা দুনিয়ার মোহে পতিত হয়ে দ্বীনের পথে চেষ্টা করার প্রয়োজনীয়তাও অন্তর থেকে হারিয়ে ফেলেছে। তাই তাদের উচিত হল, অতীতের ভুলের জন্য তাওবাহ করে দ্বীনি ইলম অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা ও বেশি করে ইবাদাতে নিয়োজিত হওয়া প্রয়োজন।
তাওহীদ সংক্রান্ত ইলম ও ফরজ ইবাদাত সমূহ সংক্রান্ত ইলম অর্জন করাকে যদি কেউ অপ্রয়োজন মনে করে এবং এ থেকে গাফেল থাকে, এমতাবস্থায় অজ্ঞতাবশত: কোনো শিরকী আক্বীদাহ পোষণ করলে তার ঈমান ভঙ্গ হয়ে যাবে। ইবাদাতের ক্ষেত্রেও যদি সে কোনো বিদআতে লিপ্ত হয় তাহলে ইবাদাত বাতিল বলে গণ্য হবে। উভয় ক্ষেত্রে অজ্ঞতা অজুহাত হিসেবে গণ্য হবে না। তাই দ্বীনি ইলম অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা ঈমান ও আমল রক্ষা করার জন্যে সকল মুমিন নারী পুরুষের অপরিহার্য দায়িত্ব। কোনো অজুহাতেই কেউ এ দায়িত্ব হতে অব্যাহতি পেতে পারে না।
See lessপ্রশ্ন নং ০১ ‣ বিদ্যুতের মিটার নামিয়ে খরচের অতিরিক্ত টাকা নেয়া কি জুলুম হবে?
কারেন্টের মিটার "নামানো" বলতে সাধারণত মিটার পরীক্ষা বা পরিবর্তন করা বোঝায়। সে যেহেতু ১৫০০ টাকা খরচ করে ৩০০০ টাকা নিচ্ছে তাই এটা নেওয়া জুলুম হবে। কারণ সেখানে যদি তার পারিশ্রমিক ৫০০ টাকার হয় তাহলে সে খরচ ও পারিশ্রমিক মিলে ২০০০ টাকা নিতে পারে এটা তার জন্য হালাল ও অধিকার । তবে বর্তমান সময়ে পারিশ্রমিকRead more
কারেন্টের মিটার “নামানো” বলতে সাধারণত মিটার পরীক্ষা বা পরিবর্তন করা বোঝায়। সে যেহেতু ১৫০০ টাকা খরচ করে ৩০০০ টাকা নিচ্ছে তাই এটা নেওয়া জুলুম হবে। কারণ সেখানে যদি তার পারিশ্রমিক ৫০০ টাকার হয় তাহলে সে খরচ ও পারিশ্রমিক মিলে ২০০০ টাকা নিতে পারে এটা তার জন্য হালাল ও অধিকার । তবে বর্তমান সময়ে পারিশ্রমিক সহ ১৫০০ টাকার বেশি নয়। সুতরাং প্রতারণা করে সে ৩০০০ টাকা নিলে সেটা জুলুমের মধ্যে পড়বে।
See lessরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
اتَّقُوا الظُّلْمَ، فَإِنّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থাকো! কেননা জুলুম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকার হয়ে দেখা দেবে। (সহীহুল বুখারী ২৪৪৭; সহীহ মুসলিম ২৫৭৯)
হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي، وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا، فَلَا تَظَالَمُوا.
হে আমার বান্দাগণ! আমি জুলুম করাকে নিজের প্রতি হারাম করেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করে দিয়েছি। সুতরাং একে-অন্যের প্রতি জুলুম করো না। (সহীহ মুসলিম ২৫৭৭; জামে তিরমিযী ২৪৯২)
প্রশ্ন নং ০২ ‣ হারাম উপার্জনকারী ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া যাবে কি?
মুসলিমদের ব্যাপারে প্রথমত সুধারণা পোষণ করা দরকার। ব্যক্তিগতভাবে কারো উপার্জনের ব্যাপারে খোঁজ খবর করা উচিত নয়। কারো ইনকাম যদি প্রকাশ্যভাবে নিশ্চিত হারাম হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে তার খাবার না খাওয়া উত্তম। কারণ লাল কাপড় পরিহিত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম প্রদান করলে তিনি সালামের জওয়াব দেননি। কRead more
মুসলিমদের ব্যাপারে প্রথমত সুধারণা পোষণ করা দরকার। ব্যক্তিগতভাবে কারো উপার্জনের ব্যাপারে খোঁজ খবর করা উচিত নয়। কারো ইনকাম যদি প্রকাশ্যভাবে নিশ্চিত হারাম হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে তার খাবার না খাওয়া উত্তম। কারণ লাল কাপড় পরিহিত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম প্রদান করলে তিনি সালামের জওয়াব দেননি। কেননা তিনি লাল কাপড় পরিধান করা পুরুষদের জন্য পসন্দ করতেন না (হাকেম হা/৭৩৯৯; ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/১৩৫০, সনদ ছহীহ)।
See lessশুধু ধারণা করেই কারো ইনকাম হারাম এটা বলা যাবে না। এটা ইমাম হোক বা যে কোনো মুসলিম সকলের জন্যই একই বিধান।
তবে এই দাওয়াত খাওয়া হারাম নয় বরং হালাল বা বৈধ।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়।
এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে পতিত হবে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম (বৈরূত : ১৪২২/২ ০০১) ২০১ পৃ.)।
রাসূল (ছাঃ) ইহূদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন ও তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন ।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহুদী মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে বিষ মিশানো বকরী নিয়ে এলো। সেখান থেকে কিছু অংশ তিনি খেলেন এবং (বিষক্রিয়া টের পেয়ে) মহিলাকে হাযির করা হল। তখন বলা হল, আপনি কি একে হত্যার আদেশ দিবেন না? তিনি বললেন, না। আনাস (রাঃ) বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (মুখ গহবরের) তালুতে আমি বরাবরই বিষক্রিয়ার আলামত দেখতে পেতাম। (বুখারী হা/২৬১৫-১৮, আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৫৯৩১)।
আর ইহুদীরা সুদ খেত। সুতরাং হারাম উপার্জন কারীর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া যাবে।
সুতরাং আত্মীয়তার হক আদায়ের উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে যাওয়া ও খাওয়া যেতে পারে তবে তাকে হারাম থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করবে। নইলে সত্বর আল্লাহ তোমাদের উপর গযব প্রেরণ করবেন। আর তখন তোমরা দো‘আ করবে। কিন্তু তা কবুল করা হবে না (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫১৪০)।
প্রশ্ন নং ০৩ ‣ ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের অতিরিক্ত দুই টাকা কি সুদ হবে?
মোবাইলে টাকা ধার নিলে যে দুই টাকা বেশি কাটে সেটা সুদ হিসাবে গণ্য হবে। হাদিসে এসেছে, عن أبي بكرة رضي الله عنه قال: «نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الفضة بالفضة، والذهب بالذهب، إلا سَوَاءً بسوَاءٍ، وأمرنا أن نشتري الفضة بالذهب، كيف شئنا. ونشتري الذهب بالفضة كيف شئنا، قال: فسأله رجل فقال: يدا بيد؟Read more
মোবাইলে টাকা ধার নিলে যে দুই টাকা বেশি কাটে সেটা সুদ হিসাবে গণ্য হবে।
See lessহাদিসে এসেছে,
عن أبي بكرة رضي الله عنه قال: «نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الفضة بالفضة، والذهب بالذهب، إلا سَوَاءً بسوَاءٍ، وأمرنا أن نشتري الفضة بالذهب، كيف شئنا. ونشتري الذهب بالفضة كيف شئنا، قال: فسأله رجل فقال: يدا بيد؟ فقال: هكذا سمعت». – [متفق عليه]
আবূ বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য ও স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ সমান সমান ব্যতিরেকে ক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আমরা যেভাবে চাই সেভাবে তিনি স্বর্ণের বিনিময়ে রৌপ্য এবং রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ ক্রয় করার অনুমতি দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতপরঃ এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “হাতে হাতে (নগদ নগদ)?” তিনি বললেন, “এরূপই আমি শুনেছি।” (বুখারী ও মুসলিম)।
অপর হাদিসে এসেছে,
যে কোনো ঋণ যা কোনো লাভ এনে দেয়, তা সুদ।
সুদ হিসেবে গণ্য হওয়ার কারণ: ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে, আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণের মতো গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে যখন আপনি টাকা রিচার্জ করেন, তখন অপারেটর সেই ঋণের উপর অতিরিক্ত কিছু টাকা কেটে নেয়। যেমন, ১৮ টাকা লোন নিলে ২০ টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে। এই অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে সুদ হিসেবে গণ্য হয়।
টাকা ঋণ দিয়ে ঋণের উপর অতিরিক্ত নেওয়াটা সূদ। এটা মোবাইল কোম্পানীই হোক আর অন্য যে কেউ হোক। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সকলের জন্যই ঋণ দিয়ে অতিরিক্ত নেওয়া সূদ হিসেবে গণ্য হবে।
দেশের প্রচলিত সকল ব্যাংক” বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে চালাচ্ছে। সাধারণ ব্যাংকিং ও ইসলামী ব্যাংকিং এর মধ্যে যে তফাৎ আছে তা মূলত কাগজ-পত্রের মধ্যেই। বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যাবধান খুব কম। প্রথম দিকে ইসলামী ব্যাংক ঘোষণা মাফিক শরীয়াহ মোতাবেক চালানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু যারা গ্রাহক তারাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুযোগ নিয়ে ইসলামী ব্যাংককে বেকাদায় ফেলার চেষ্টা করেছে। যেমন: বাইয়ে মুযাযযাল পদ্ধতিতে বিনিয়োগ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করে নির্দিষ্ট মেয়াদের চেয়েও ২/৩ গুন সময় দেরি করছে। অথচ ব্যাংক টাকার পরিমাণ বাড়াতে পারছেনা, পরবর্তীতে পেনাল্টি চার্জ করার সুযোগ হয়েছে এবং ব্যাংকের সকল ব্রাঞ্জ ম্যানেজারসহ ইসলামী শরীইয়াহ সম্পর্কে অভিজ্ঞ না হওয়ায় কাগজে লিখিত শর্তগুলো কাগজেই থেকে যায় বাস্তবায়িত হয় না। এজন্য সাধারণভাবে সুদভিত্তিক অর্থনীতির অধীনে সূদমুক্ত ব্যাংকিং চালানো বলতে গেলে সম্ভব নয়। তাই ইসলামী ব্যাংকগুলোকে সম্পূর্ণ সুদমুক্ত – এটা বলার অবকাশ নেই। তাই ব্যাংকের সাথে যথাসম্ভব লেনদেন এড়িয়ে চলতে হবে। তবে ব্যাংক এ বেতন উঠানো বা টাকা পাঠানো ইত্যাদি প্রয়োজন সাপেক্ষে করতে পারেন। আর ব্যাংকে যদি অ্যাকাউন্ট খুলা ছাড়া ও টাকা জমা রাখা ছাড়া উপায় না থাকে তাহলে কারেন্ট অ্যাক্যান্ট খুলতে পারেন। যেখানে আপনার টাকা তারা জমা রাখবে আমানত হিসাবে এবং আপনাকে কোন মুনাফা দিবেনা।
আপনার টাকা আপনি যে কোন সময় উঠাতে পারবেন।
মহান আল্লাহ বলেন,
لّٰهِ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ .
কিন্তু যে নিরূপায় অথচ নাফরমান এবং সীমালংঘনকারী নয় তার কোন পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ( সূরা বাকারা ২: ১৭৩)
মহান আল্লাহ আরোও বলেন,
তবে কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ নিশ্চয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
[সূরা আল-মায়েদাহ: ৩]
প্রশ্ন নং ০৪ ‣ অজুর পরে কাপড় পাক করার জন্য পানির ছিটা কীভাবে দিতে হয়?
পেশাব করার পর অজুর শেষে সামনের দিকের কাপড়ে অল্প পানির ছিটা দিয়ে দেওয়া মুস্তাহাব । কাপড় পাক করার জন্য নয়। ওযুর পর লজ্জাস্থানে পানি ছিটানোর নিয়ম হলো, ওযুর শেষে হাতে পানি নিয়ে পেশাবের জায়গায় কাপড়ের উপর হালকাভাবে এই পানি ছিটিয়ে দেওয়া। হাদীস থেকে দলীল: عَنْ سُفْيَانَ بْنِ الْحَكَمِ الثَّقَفِيِّ، أَRead more
পেশাব করার পর অজুর শেষে সামনের দিকের কাপড়ে অল্প পানির ছিটা দিয়ে দেওয়া মুস্তাহাব । কাপড় পাক করার জন্য নয়। ওযুর পর লজ্জাস্থানে পানি ছিটানোর নিয়ম হলো, ওযুর শেষে হাতে পানি নিয়ে পেশাবের জায়গায় কাপড়ের উপর হালকাভাবে এই পানি ছিটিয়ে দেওয়া।
See lessহাদীস থেকে দলীল:
عَنْ سُفْيَانَ بْنِ الْحَكَمِ الثَّقَفِيِّ، أَوِ الْحَكَمِ بْنِ سُفْيَانَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَالَ يَتَوَضَّأُ وَيَنْتَضِحُ .
সুফিয়ান ইবনুল হাকাম আছ্-ছাকাফী অথবা হাকাম ইবনু সুফিয়ান আছ্-ছাকাফী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখনই পেশাব করতেন, তখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন এবং উযূর পানি ছিটাতেন।
(সুনান আবূ দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৬৬ হাদীসটি সহীহ)
অপর হাদিসে এসেছে,
عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .
হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান।
(সুনান আবূ দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৬৮, হাদীসটি সহীহ)