1. সলাতে ইমামতির জন্য তিলাওয়াত সহীহ হওয়া, সালাত আদায়ের পদ্ধতির ইলম থাকা, সালাতের শর্ত ও জরুরী মাসাইলগুলো জানা থাকা জরুরী। عَن أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعRead more

    সলাতে ইমামতির জন্য তিলাওয়াত সহীহ হওয়া, সালাত আদায়ের পদ্ধতির ইলম থাকা, সালাতের শর্ত ও জরুরী মাসাইলগুলো জানা থাকা জরুরী।
    عَن أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ سِنًّا وَلَا يَؤُمَّنَّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ وَلَا يَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلَّا بِإِذْنِهِ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: «وَلَا يَؤُمَّنَّ الرجل الرجل فِي أَهله»
    আবূ মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষের ইমামতি করবে সেই ব্যক্তি যে কুরআন ভালো পড়ে। যদি কুরআন পড়ায় সকলে সমান হয়, তবে যে সুন্নাহ বেশি জানে। যদি সুন্নাহতেও সকলে সমান হয়, তবে যে হিজরত করেছে সে। যদি হিজরতেও সকলে সমান হয়, তবে যে বয়সে বেশি’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৭৩; মিশকাত, হা/১১১৭)।
    এছাড়াও দ্বীনি ইলম ও তাকওয়ার অধিকারী হওয়া প্রয়োজন, সকল প্রকারের হারাম থেকে বেঁচে থাকা। এছাড়াও সকল ফরজ-ওয়াজিবাত আদায়ের ক্ষেত্রে একনিষ্ঠ থাকা প্রয়োজন। কারণ ইমাম মুক্তাদীদের জন্য আদর্শ হওয়া প্রয়োজন।

    See less
  2. সালাতের সময় ছাড়াও সব সময়ই মহিলাদের টাখনু ঢেকে রাখতে হবে। টাখনুর নীচে মহিলাদের পায়ের পাতা পর্দার অন্তর্গত নয় সেহেতু পায়ের পাতা খোলা রাখলে সলাত নষ্ট হবেনা। তবে পায়ের পাতা ডেকে রাখা উত্তম । উম্মে সালামাহ (রাঃ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ সময় বড় চাদর দিয়ে পায়ের পাতাসহ সর্বাঙ্গ আবৃত করRead more

    সালাতের সময় ছাড়াও সব সময়ই মহিলাদের টাখনু ঢেকে রাখতে হবে। টাখনুর নীচে মহিলাদের পায়ের পাতা পর্দার অন্তর্গত নয় সেহেতু পায়ের পাতা খোলা রাখলে সলাত নষ্ট হবেনা।
    তবে পায়ের পাতা ডেকে রাখা উত্তম ।
    উম্মে সালামাহ (রাঃ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ সময় বড় চাদর দিয়ে পায়ের পাতাসহ সর্বাঙ্গ আবৃত করবে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৬২২৮)। তবে রুকূ-সিজদার সময় পায়ের পাতা প্রকাশ পেলে ছালাত বিনষ্ট হবেনা। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তবে যেটুকু স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় সেটুকু ব্যতীত’ (নূর ২৪/৩১; (দ্র. ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ ফাতাওয়া ২২/১১৪-১২০)।

    See less
  3. ইনস্যুরেন্স কোম্পানীগুলো সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে ছিল, ব্যাংকগুলো যেভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে ব্যাংকের মতই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার সরকারের চিন্তা ছিল। অর্থ মন্ত্রণালয় হোক আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই হোক সরকারেরই বীমা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাধারণ বীমা ও জীRead more

    ইনস্যুরেন্স কোম্পানীগুলো সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে ছিল, ব্যাংকগুলো যেভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে ব্যাংকের মতই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার সরকারের চিন্তা ছিল। অর্থ মন্ত্রণালয় হোক আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই হোক সরকারেরই বীমা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাধারণ বীমা ও জীবনবীমা পরিচালিত হয়। ব্যাংকগুলো যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালনার দাবি করে। তেমনিভাবে বীমা অধিদপ্তর থেকেও বীমা কোম্পানীগুলোও লাইসেন্স নিয়ে পরিচালনা করে। কিছু ইনস্যুরেন্স কোম্পানী শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালনা দাবি করলেও তাদের ইনভেস্ট সকল ক্ষেত্রে শরিয়াহ ভিত্তিক না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন কেনা -বেচা, প্লট-ফ্লাট এমন কিছু ব্যবসা শরীয়াহ মেতাবেক হলেও সম্পূর্ণভাবে শরীয়াহ ভিত্তিক নয়। শরীয়াহ বোর্ডে যারা আছেন তাদের অনেককে চিনি। অনেকের সাথে কথাও হয়েছে। কিন্তু শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামী অর্থব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান অতি সীমিত। সেহেতু ইসলামী বাংক ও ইসলামী বীমা” কোনোটাই পরিপূর্ণ ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত হচ্ছে না। মানবরচিত কুফরী শাসন ব্যবস্থার অধীনে শরীয়াহ ভিত্তিক ইসলামী অর্থব্যবস্থা পরিচালনা করাই অসম্ভব। সেহেতু এমন দাবী বাস্তবতা বিবর্জিত।

    See less
  4. সম্ভবত মানতের ব্যাপারেই জিজ্ঞেস করেছেন। মানুষ বিভিন্ন বিপদে বা রোগে-শোকে আক্রান্ত হলে সাধারণত বিভিন্ন মানত করে থাকে। মানত হচ্ছে যরূরী নয় এমন কিছু কাজকে নিজের উপর যরূরী করে নেয়া। মানত যদি কেউ করে তাহলে আল্লাহর নামেই করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর নামে মানত বৈধ নয়। তবে আল্লাহর নামে হলেও মানত না করRead more

    সম্ভবত মানতের ব্যাপারেই জিজ্ঞেস করেছেন। মানুষ বিভিন্ন বিপদে বা রোগে-শোকে আক্রান্ত হলে সাধারণত বিভিন্ন মানত করে থাকে। মানত হচ্ছে যরূরী নয় এমন কিছু কাজকে নিজের উপর যরূরী করে নেয়া। মানত যদি কেউ করে তাহলে আল্লাহর নামেই করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর নামে মানত বৈধ নয়।
    তবে আল্লাহর নামে হলেও মানত না করায় উত্তম।
    عَنِ ابْنِ عُمَرَ رضي الله عنهما:
    عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنِ النَّذْرِ، وَقَالَ: «إِنَّهُ لَا يَأْتِي بِخَيْرٍ، وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ».
    ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে:
    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি মানত করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, “তা কোন রকম কল্যাণ বয়ে আনে না। তবে এর মাধ্যমে কৃপণ লোকের থেকে কিছু বের করা হয়”।
    (বুখারী ও মুসলিম) [সহীহ মুসলিম – ১৬৩৯]

    See less
  5. খইবারের যুদ্ধের দিন রাসূল (সাঃ) গৃহপালিত গাধা ও মুতআহ বিবাহ নিষিদ্ধ করেছেন, বন্য গাধা নিষিদ্ধ করেননি। পূর্বে গৃহপালিত গাধাও হালাল ছিলো। খাইবার যুদ্ধের পর থেকে গৃহপালিত গাধা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেহুতু বন্য গাধা সবসময়ই হালাল। আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: نَهَى رَسُوْلُ اللهِ عَنRead more

    খইবারের যুদ্ধের দিন রাসূল (সাঃ) গৃহপালিত গাধা ও মুতআহ বিবাহ নিষিদ্ধ করেছেন, বন্য গাধা নিষিদ্ধ করেননি। পূর্বে গৃহপালিত গাধাও হালাল ছিলো। খাইবার যুদ্ধের পর থেকে গৃহপালিত গাধা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেহুতু বন্য গাধা সবসময়ই হালাল।
    আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
    نَهَى رَسُوْلُ اللهِ عَنْ أَكْلِ الْحِمَارِ الْأَهْلِيِّ يَوْمَ خَيْبَرَ، وَكَانَ النَّاسُ احْتَاجُوْا إِلَيْهَا.
    ‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবারের দিন গৃহপালিত গাধা খেতে নিষেধ করেছেন; অথচ তা তখন সবারই খাওয়ার প্রয়োজন ছিলো’’। (মুসলিম ৫৬১)

    See less
  6. মসজিদে রাত্রিযাপনে কোন সমস্যা নেই। রাসূল (সাঃ) এর যামানায় মসজিদে নববীতে অনেক সাহাবী রাত্রিযাপন করতেন। এটা নিষিদ্ধ নয়। ‏‏‏‏‏‏عَنْ ابْنِ عُمَرَ، ‏‏‏‏‏‏أَنَّهُ كَانَ يَنَامُ وَهُوَ شَابٌّ عَزْبٌ لَا أَهْلَ لَهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلRead more

    মসজিদে রাত্রিযাপনে কোন সমস্যা নেই। রাসূল (সাঃ) এর যামানায় মসজিদে নববীতে অনেক সাহাবী রাত্রিযাপন করতেন। এটা নিষিদ্ধ নয়।
    ‏‏‏‏‏‏عَنْ ابْنِ عُمَرَ، ‏‏‏‏‏‏أَنَّهُ كَانَ يَنَامُ وَهُوَ شَابٌّ عَزْبٌ لَا أَهْلَ لَهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .
    ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর যামানায় মসজিদে নবাবীতে শয়ন করতেন আর তখন তিনি ছিলেন অবিবাহিত যুবক, তার বিবি (স্ত্রী) ছিল না।
    (নাসাঈ ৭২২, সহীহুল বুখারী ৪৪০, সহীহ মুসলিম ২৪৭৯।)

    See less
  7. প্রত্যেক মুমিনের অপরিহার্য দায়িত্ব হল কুরআন মাজিদ  সহীহভাবে তিলওয়াত শিক্ষা করা। বিজ্ঞ আলিমের কাছ থেকে কুরআন-হাদীস শিখে সহীহ আমল করা। শিক্ষক ব্যতীত কেউ যদি নিজে নিজে কুরআন-হাদীস শিখে ও আমল করে, তাহলে সে বিভ্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, انما بعثت معلم প্রকৃতপক্ষে আমি শিক্ষক রূপেই প্রেRead more

    প্রত্যেক মুমিনের অপরিহার্য দায়িত্ব হল কুরআন মাজিদ  সহীহভাবে তিলওয়াত শিক্ষা করা। বিজ্ঞ আলিমের কাছ থেকে কুরআন-হাদীস শিখে সহীহ আমল করা। শিক্ষক ব্যতীত কেউ যদি নিজে নিজে কুরআন-হাদীস শিখে ও আমল করে, তাহলে সে বিভ্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি।

    রাসূল (সাঃ) বলেছেন, انما بعثت معلم

    প্রকৃতপক্ষে আমি শিক্ষক রূপেই প্রেরীত হয়েছি।

    দীর্ঘদিন যাবত তাওহীদ বুঝেছে এটা বলা ঠিক হবে না এজন্য যে, উপরে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে – তাওহীদ বুঝলে এমন বিভ্রান্তি থাকত না। তাওহীদ না বুঝার কারণেই কুরআন সুন্নাহ বিবর্জিত। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আহর আক্বীদাহ থেকে বিচ্যুত না হলে এমন বিভ্রান্তিমূলক আমল করতে পারতনা।

    সর্বপ্রথম প্রয়োজন তাওহীদের ইলম বিশুদ্ধভাবে শিক্ষা করা। এ জন্যে রসূলূল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ

    خيركم من تعلم القران وعلمه

    তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। সেহেতু হকপন্থী-বিজ্ঞ আলিমের কাছ থেকে কুরআন-সুন্নাহর ইলম বিশেষ করে তাওহীদের ইলম শিক্ষা করা একজন মুমিনের জন্য অপরিহার্য। শিরকমুক্ত ঈমান ও বিদআতমুক্ত আমলের অধিকারী হতে হলে বিশুদ্ধ ইলমের বিকল্প নেই।

    বিজ্ঞ আলিমদের ভুল খুঁজে বেড়ানো জাহিলিয়াতের লক্ষণ। যারা বুঝে-শুনে দ্বীনি সহীহ আক্বীদাহর ভিত্তিতে আমল করার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছেন, তাদেরকে তাগুতের সহচর মনে করা নিতান্ত জাহিলদের কাজ। যারা তাগুত চেনে না, তাগুত সম্পর্কে কোনো ধারণাও নেই, এমন মূর্খ জাহিলরা হক্বপন্থী আলিমদেরকে মুরতাদ বলতেও দ্বিধা করেনা। কারও প্রকাশিত কোনো কথা বা কাজের মাধ্যমে ঈমান ভঙ্গের কারণ না ঘটলে তাকে মুসলিম বলে বিশ্বাস করা আহলুস সন্নাহ ওয়াল জামা’আহর আক্বীদাহর অন্তর্ভুক্ত।

    See less
  8. প্রথমে তার অভিভাবককে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য বুঝাতে হবে। বুঝানোর পরও যদি সে বিয়ে দিতে না চায় তাহলে তার অভিভাবকত্ব হারিয়ে যাবে। কারণ সে বিয়েতে বাধা প্রদানকারী হিসাবে গণ্য হবে। তখন এই অভিভাবকত্ব তার নিকট আত্মীয়ের কাছে স্থান্তরিত হবে। যেমন মেয়ের দাদা তারপর সন্তান তারপর ভাই তারপর চাচা ইত্যাদি। শেRead more

    প্রথমে তার অভিভাবককে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য বুঝাতে হবে। বুঝানোর পরও যদি সে বিয়ে দিতে না চায় তাহলে তার অভিভাবকত্ব হারিয়ে যাবে। কারণ সে বিয়েতে বাধা প্রদানকারী হিসাবে গণ্য হবে। তখন এই অভিভাবকত্ব তার নিকট আত্মীয়ের কাছে স্থান্তরিত হবে। যেমন মেয়ের দাদা তারপর সন্তান তারপর ভাই তারপর চাচা ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে তাহলে মুসলিম শাসক বা তার প্রতিনিধি বা মুসলিম কাজী তার অভিভাবক হবে আর মুসলিম শাসক বা প্রতিনিধির অনুপস্থিতে দ্বীনি দায়িত্বশীল ভাই অভিভাবক হয়ে সেই মেয়ের বিয়ে দিতে পারবে।

    রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন

    «لا نكاح إلا بولي، وأيما امرأة نكحت نفسها فنكاحها باطل باطل باطل، فإن اشتجروا فالسلطان ولي من لا ولي له

    “অভিভাবক ছাড়া কোনো বিয়ে বৈধ নয়। যে নারী নিজে নিজে বিয়ে সম্পন্ন করে, তার বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল। যদি অভিভাবকগণ বিরোধ সৃষ্টি করে, তাহলে যার অভিভাবক নেই, তার অভিভাবক হবে সুলতান (শাসক)।” (জামে’ আত-তিরমিযী: হাদীস নম্বর ১১০১, সুনান আবুদাউদ: হাদীস নম্বর ২০৮৩, সুনান ইবনু মাজাহ: হাদীস নম্বর ১৮৭৯, মুস্তাদরাক হাকিম: হাদীস নম্বর ২৭১০) সহীহ হিসেবে বর্ণনা করেছেন: ইমাম আলবানী (সহীহুল জামে’, হাদীস: ৭৫৫৭)

    See less