এ ধরণের বিনোদনের জায়গায় বেড়াতে যাওয়া বৈধ নয়। যেখানে বেপর্দা নারীর আনা-গোনা হয় ও ভাস্কর্য নামের মূর্তি থাকে এমন জায়গাতো শয়তানের বিনোদনকেন্দ্র। এমন জায়গা থেকে মুমিনদের দূরে থাকা প্রয়োজন। আল্লাহ তাআলা বলেন, قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَRead more
এ ধরণের বিনোদনের জায়গায় বেড়াতে যাওয়া বৈধ নয়। যেখানে বেপর্দা নারীর আনা-গোনা হয় ও ভাস্কর্য নামের মূর্তি থাকে এমন জায়গাতো শয়তানের বিনোদনকেন্দ্র। এমন জায়গা থেকে মুমিনদের দূরে থাকা প্রয়োজন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ . وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ.
“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গকে হেফাযতে রাখে; এটিই তাদের জন্য উত্তম। ওরা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারাও যেন নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও লজ্জাস্থান সংরক্ষন করে—।”
وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ .
“(হে নারী জাতি!) তোমরা স্বগৃহে অবস্থান কর এবং প্রাক-ইসলামী (জাহেলিয়াতী) যুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়িও না।”
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত-
إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ زَمَنَ الْفَتْحِ وَهُوَ بِالْبَطْحَاءِ أَنْ يَأْتِيَ الْكَعْبَةَ، فَيَمْحُوَ كُلَّ صُورَةٍ فِيهَا، فَلَمْ يَدْخُلْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى مُحِيَتْ كُل صُورَةٍ فِيهَا.
মক্কাবিজয়ের সময় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর ইবনুল খাত্তাব রা.-কে আদেশ দিলেন, তিনি যেন কাবা ঘরের সব প্রতিকৃতি মিটিয়ে দেন। সকল ছবি মোছার আগ পর্যন্ত তিনি কাবায় প্রবেশ করেননি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪১৫৬; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৫৮৫৭)।
প্রথমতঃ স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী ৯০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে স্ত্রী তালাক হয়ে যায় এর কোনো দলীল নেই। উমার (রাদিঃ) রাতের বেলায় এক মহিলার কবিতা আবৃতি শুনে নিজের মেয়ে রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী হাফসা (রাদিঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। একজন বিবাহিতা নারী স্বামী ছাড়া কতদিন ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারে? তিনি বলেছিলেন, চারRead more
প্রথমতঃ স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী ৯০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে স্ত্রী তালাক হয়ে যায় এর কোনো দলীল নেই। উমার (রাদিঃ) রাতের বেলায় এক মহিলার কবিতা আবৃতি শুনে নিজের মেয়ে রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী হাফসা (রাদিঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। একজন বিবাহিতা নারী স্বামী ছাড়া কতদিন ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারে? তিনি বলেছিলেন, চার মাস। তখন উমর (রাদিঃ) সকল কর্তৃত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে নির্দেশনা পাঠালেন যার অধীনে লোকেরা নিয়োজিত আছে তাদেরকে ৪ মাস হওয়ার পূর্বেই যেন ছুটি দেওয়া হয়। এ জন্য কোনো স্বামীরই যে কোনো কারণেই হোক স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না। যারা রুজি রোজগারের জন্য অন্য দেশে যায় স্ত্রীকে সাথে নিতে পারে না তাদের এই কাজ শরীয়া সম্মত নয়। যদি তার এই কর্মের কারণে স্ত্রী পাপ কাজে লিপ্ত হয় তাহলে স্ত্রী যেমন কবীরা গুনাহ করল তেমন স্বামী কাবিরাহ গুনাহ করল অর্থ্যাৎ দুজনই সমান অপরাধী। তালাকের বিষয়টি ফকীহদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে, যদি স্বামীর অবস্থান জানা থাকে। তাহলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তালাক হবেনা। বরং স্ত্রী স্বামীর কাছে তালাক দাবী করতে পারবে। স্বামী না দিলে খোলা তালাকের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ আছে। যদি স্বামী নিরুদ্দেশ (তার খোজ না থাকে) হয় তাহলে এক্ষেত্রে কয়েকটি মত আছে। কেউ বলেছেন: স্ত্রী চার বছর অপেক্ষার পর অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে। কেউ বলেছেন বারো বছর পর।
“أن عمر بن الخطاب قضى في امرأة المفقود أن تتربص أربع سنين، ثم تعتد أربعة أشهر وعشرا، ثم تحل للأزواج.”
(البيهقي، السنن الكبرى 7/445)
অনুবাদ: উমর ইবনুল খাত্তাব রা. নিখোঁজ স্বামীর স্ত্রীর ব্যাপারে রায় দেন যে, সে চার বছর অপেক্ষা করবে, তারপর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে, এরপর সে চাইলে অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে।
ইদাদের প্রোগ্রাম করার ব্যাপারে আইয়্যামে বীজের সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যদি কোনো ভূমিকা থাকে। অথবা যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা যাদেরকে ইদাদে অংশগ্রহণ করাতে চান, তাদের বীজের সিয়াম পালনের সুবিধার্থে ঐদিনগুলো বাদ দিয়ে প্রোগ্রাম করলে ভাল হয়। আর যদি প্রোগ্রাম দীর্ঘদিনের হয় তাহলে,Read more
ইদাদের প্রোগ্রাম করার ব্যাপারে আইয়্যামে বীজের সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যদি কোনো ভূমিকা থাকে। অথবা যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা যাদেরকে ইদাদে অংশগ্রহণ করাতে চান, তাদের বীজের সিয়াম পালনের সুবিধার্থে ঐদিনগুলো বাদ দিয়ে প্রোগ্রাম করলে ভাল হয়। আর যদি প্রোগ্রাম দীর্ঘদিনের হয় তাহলে, বীজের রোজা ছেড়ে দেওয়াটাই ভালো। কারণ বীজ নফল ইবাদত আর ইদাদ ফরজ ইবাদত।
وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ اللَّهُ يَعْلَمُهُمْ ۚ وَمَا تُنفِقُوا مِن شَيْءٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ
আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না। (সূরা আনফাল ৮: ৬০)
ত্বগুত হলো আল্লাহর প্রতিপক্ষ শক্তি। মানুষ ও জ্বীনদের মধ্য থেকে যারা নিজেদেরকে ইলাহের আসনে বসায় এরাই ত্বগুত এবং এরাই শয়তান। আল্লাহ মানব জাতির জন্যে বিধান দিয়েছেন এবং এই মানুষ ও জ্বীন ত্বগুত শয়তান আল্লাহর বিধানের পরিবর্তে নিজেরা বিধান রচনা করে বা অন্য মানুষের রচিত বিধান মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করেRead more
ত্বগুত হলো আল্লাহর প্রতিপক্ষ শক্তি। মানুষ ও জ্বীনদের মধ্য থেকে যারা নিজেদেরকে ইলাহের আসনে বসায় এরাই ত্বগুত এবং এরাই শয়তান। আল্লাহ মানব জাতির জন্যে বিধান দিয়েছেন এবং এই মানুষ ও জ্বীন ত্বগুত শয়তান আল্লাহর বিধানের পরিবর্তে নিজেরা বিধান রচনা করে বা অন্য মানুষের রচিত বিধান মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করে। আর কাফির হল যারা আল্লাহর বিধান মেনে চলতে অস্বীকার করে। এজন্য এরা কাফির, কিন্তু কুফরী করতে তারা অন্যকে বাধ্য করে না বা করতে পারে না। তাই ব্যক্তিগতভাবে একজন কাফিরের চেয়ে ত্বগুতের প্রতিটি সদস্য, সবচেয়ে বেশি অপরাধী। কারণ এরা হল মানুষরূপী শয়তান। শয়তান যেই ভাবে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সকল প্রকার তৎপরতা চালায়। তেমনিভাবে মানুষরূপী এই ত্বগুত শয়তানরাও মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সকল প্রকারের কূটকৌশল অবলম্বন করে। এমনকি তার গোলামী না করলে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে হলেও , শয়তানের গোলামী করতে বাধ্য করে। এজন্য ত্বগুত শয়তানই হলো সৃষ্টিকুলের মধ্যে নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। কাফিরদের চেয়েও জঘন্যতম অপরাধী।
মহান আল্লাহ বলেন,
اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ.
‘‘যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে যান। আর যারা কুফরী করেছে তাদের অভিভাবক তাগূত। তারা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়।’’
(সূরা বাকারা, ২৫৭ আয়াত)
অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন:
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا.
‘‘যারা ঈমানদার তারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে। আর যারা কুফরী করেছে তারা তাগূতের পথে যুদ্ধ করে। অতএব তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; শয়তানের কৌশল অবশ্যই দুর্বল।’’ (সূরা নিসা, ৭৬ আয়াত)
মাসজিদের ইমাম যদি মুশরিক না হন অথবা শরীয়তের কোনো শর্ত অনুযায়ী ইমামতির অযোগ্য না হন তাহলে এমন মাসজিদে জামাআতে নামায পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। মাসজিদে ত্বগুত বা দাজ্জাল সম্পর্কে কথা বলা যায়না শুধু এই কারণেই জামাআতে সালাত বর্জন করা যাবে না। কারণ জামাআতে সালাতের গুরুত্ব হাদীসে বর্ণিত আছে। আব্দুল্Read more
মাসজিদের ইমাম যদি মুশরিক না হন অথবা শরীয়তের কোনো শর্ত অনুযায়ী ইমামতির অযোগ্য না হন তাহলে এমন মাসজিদে জামাআতে নামায পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। মাসজিদে ত্বগুত বা দাজ্জাল সম্পর্কে কথা বলা যায়না শুধু এই কারণেই জামাআতে সালাত বর্জন করা যাবে না। কারণ জামাআতে সালাতের গুরুত্ব হাদীসে বর্ণিত আছে।
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«صَلاَةُ الْـجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَةِ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِيْنَ دَرَجَةً».
“জামা‘আতে সালাত পড়া একা সালাত আদায়ের চাইতে সাতাশ গুণ বেশি উত্তম”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৫০)
অপর হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ وَرَاحَ أَعَدَّ اللهُ لَهُ نُزُلَهُ مِنَ الْجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ–
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যায়, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে ততবার মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে রাখেন’।
(বুখারী হা/৬৬২; মুসলিম হা/৬৬৯; মিশকাত হা/৬৯৮।)
কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মRead more
কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মুশরিকদের দেব-দেবীগুলিকেও কার্টুনের সাথে সাদৃশ্যশীল মনে করে। মূর্তি- সংস্কৃতিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে। মূর্তিপূজারীদের অনেক মূর্তি কার্টুন সদৃশ। তাই এ ধরণের কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা দেয়া যাবে না। প্রাণীর ছবি আকার-আকৃতি যে নামই দেয়া হোক না কেন তা রসূলুল্লাহ (সাঃ) নিষিদ্ধ করেছেন। বাচ্চাদেরকে আক্বীদাহগতভাবে মূর্তি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তোলা প্রয়োজন। ইসলামের দিকনির্দেশনা ও স্মৃতিচিহ্ন গুলো যা অবিকৃত সংরক্ষিত আছে এবং ইসলামের সৌর্যবীর্য প্রমাণিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী গল্প আকারে সহজ ভাষায় রচনা করে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিলে ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ ۗ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَىٰ وَلَٰكِن تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ.
তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ, হেদায়েত ও রহমত রয়েছে। (সূরা ইউসূফ আয়াত : ১১১)
সালাত না পড়া এবং নেশা করা এটা তার আমলের ত্রুটি। তাদের টাকায় কেনা খাবার খাওয়া জায়েজ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমাRead more
সালাত না পড়া এবং নেশা করা এটা তার আমলের ত্রুটি। তাদের টাকায় কেনা খাবার খাওয়া জায়েজ।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়।
এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে পতিত হবে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম (বৈরূত : ১৪২২/২ ০০১) ২০১ পৃ.)।
রাসূল (ছাঃ) ইহূদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন ও তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন ।
তবে বিরত থাকা উত্তম। কেননা সে দুটি বড় ধরনের পাপে লিপ্ত। অথচ লাল কাপড় পরিহিত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম প্রদান করলে তিনি সালামের জওয়াব দেননি। কারণ তিনি লাল কাপড় পরিধান করা পুরুষদের জন্য পসন্দ করতেন না (হাকেম হা/৭৩৯৯; ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/১৩৫০, সনদ ছহীহ)।
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইলRead more
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইল ও সফরের সময়কাল ১৯ দিন পর্যন্ত কসর করার প্রমাণ রয়েছে। হাদীস নিম্নে দেয়া হলো:
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةَ عَشَرَ يَقْصُرُ، فَنَحْنُ إِذَا سَافَرْنَا تِسْعَةَ عَشَرَ قَصَرْنَا، وَإِنْ زِدْنَا أَتْمَمْنَا
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থানকালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ঊনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ আদায় করি। (সহিহ বুখারী তাওঃ পাবঃ হাঃ নং ১০৮০)
তবে সাময়িক থাকার নিয়ত থাকে কিন্তু কোন কারণে সফর অনেক দীর্ঘ হয়ে যায় তাহলে যতদিন থাকবে ততদিনই কসর করতে পারবে।
عن نافع، قال: أقام ابن عمر بأذربيجان ستة أشهر، أو قال: ستة عشرا شهراً يقصر الصلاة، وكان الثلج حبسهم، وكان يصلي ركعتين.
নাফি’ (রহ.) থেকে বর্ণিত: ইবনে উমর (রাঃ) আজারবাইজানে ছয় মাস অথবা ষোল মাস (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অবস্থান করেছিলেন এবং এই পুরো সময় কসর নামাজ আদায় করতেন।
তুষারপাতের কারণে তারা আটকা পড়েছিলেন, কিন্তু তবুও তিনি দুই রাকাত (কসর) নামাজই পড়তেন।
মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নম্বর: : 9360
ইমাম বুখারী, ইমাম মালিক এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও এই আমল উল্লেখ করেছেন।
যেহেতু তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়ত করেন নি বরং তুষার তাকে আটকে রেখেছিল।
عن أنس بن مالك أنه أقام بالشام سنتين يقصر الصلاة.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) শামে দুই বছর অবস্থান করেছিলেন এবং কসর নামাজ আদায় করেছিলেন।
المصنف لابن أبي شيبة
হাদীস বর্ণনা আছে ইবন কুদামার المغني গ্রন্থেও।
ওযুর অঙ্গের মধ্যে এক চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ওযু হবে না। আর ঐ অজু দিয়ে সালাত হবেনা। ওযুর অঙ্গ ভেজা থাকা অবস্থায় যদি কোনো জায়গা শুষ্ক দেখা যায় তাহলে ভেজা অংশ থেকে হাত দ্বারা শুকনো অংশ ডলে দিলে ওযু হয়ে যাবে। কিন্তু ওযুর অঙ্গ শুকিয়ে গেলে নতুন করে ওযু করতে হবে। যেহেতু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাRead more
ওযুর অঙ্গের মধ্যে এক চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ওযু হবে না। আর ঐ অজু দিয়ে সালাত হবেনা। ওযুর অঙ্গ ভেজা থাকা অবস্থায় যদি কোনো জায়গা শুষ্ক দেখা যায় তাহলে ভেজা অংশ থেকে হাত দ্বারা শুকনো অংশ ডলে দিলে ওযু হয়ে যাবে। কিন্তু ওযুর অঙ্গ শুকিয়ে গেলে নতুন করে ওযু করতে হবে।
যেহেতু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা কতক লোকের শুষ্ক গোড়ালি দেখে বলেছিলেন, “গোড়ালিগুলোর জন্য দোযখে ধ্বংস ও সর্বনাশ রয়েছে! তোমরা ভালরুপে (সকল অঙ্গকে সম্পূর্ণরুপে) ধুয়ে ওযু কর।” (মুসলিম, মিশকাত ৩৯৮নং)
এক ব্যক্তি ওযু করার পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে দেখলেন, তার দুই পায়ে নখ পরিমাণ জায়গা শুষ্ক রয়েছে। তিনি তাকে বললেন, “তুমি ফিরে গিয়ে ভালরুপে ওযু করে এস।” (আবূ দাঊদ, সুনান ১৫৮নং)
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন তাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচRead more
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন
তাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচানোর জন্য তার অনুপিস্থিতিতে তার ত্রুটি বর্ণনা করা গীবত নয়। ইমাম নববী গীবত থেকে যে ৬টি বিষয়কে আলাদা করেছেন এটা হল তার একটি।
হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, বিদ‘আতী ব্যক্তির সমালোচনা করা হারাম গীবতের পর্যায়ভুক্ত নয়।
(হেবাতুল্লাহ লালকাঈ, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ১/১৫৮।)
একবার আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল,
الرجل يصوم ويصلي ويعتكف أحب إليك أو يتكلم في أهل البدع؟ ‘
যে ব্যক্তি ছিয়াম রাখে, ছালাত আদায় করে এবং ই‘তিকাফ করে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী পসন্দনীয়, নাকি যে বিদ‘আতীদের সম্পর্কে কথা বলে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী প্রিয়’? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই ব্যক্তি যখন ছালাত-ছিয়াম ও ই‘তিকাফে রত থাকে, তখন সেই আমলটা শুধু তার নিজের জন্যই সম্পাদিত হয়। কিন্তু যখন সে বিদ‘আতীর বিরুদ্ধে কথা বলে, তখন সেখানে গোটা মুসলিম জাতির কল্যাণ নিহিত থাকে। আর এটাই অধিকতর উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ’।
(ইবনে তাইমিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া, ২৮/২৩১।)
তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন খতিবের সমালোচনা যেন অবশ্যই সংশোধনমূলক ও ইনছাফপূর্ণ হয়। অর্থাৎ তিনি তার বক্তৃতা, লেখনি ও কর্মকান্ডে দ্বীনের ব্যাপারে যতটুকু ভুল করেছেন, কেবল ততটুকুর সমালোচনা করে সঠিক বিষয় পরিবেশন করা কর্তব্য। সেই সমালোচনা যেন কোনভাবেই হিংসামূলক এবং ব্যক্তিগত চরিত্রে আক্রমণমূলক না হয়ে যায়। এমন হ’লে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হবে।
প্রশ্ন নং ০৫ ‣ বেপর্দা মহিলা ও ভাস্কর্য সম্বলিত বিনোদনকেন্দ্রে যাওয়ার বিধান কী?
এ ধরণের বিনোদনের জায়গায় বেড়াতে যাওয়া বৈধ নয়। যেখানে বেপর্দা নারীর আনা-গোনা হয় ও ভাস্কর্য নামের মূর্তি থাকে এমন জায়গাতো শয়তানের বিনোদনকেন্দ্র। এমন জায়গা থেকে মুমিনদের দূরে থাকা প্রয়োজন। আল্লাহ তাআলা বলেন, قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَRead more
এ ধরণের বিনোদনের জায়গায় বেড়াতে যাওয়া বৈধ নয়। যেখানে বেপর্দা নারীর আনা-গোনা হয় ও ভাস্কর্য নামের মূর্তি থাকে এমন জায়গাতো শয়তানের বিনোদনকেন্দ্র। এমন জায়গা থেকে মুমিনদের দূরে থাকা প্রয়োজন।
See lessআল্লাহ তাআলা বলেন,
قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ . وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ.
“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গকে হেফাযতে রাখে; এটিই তাদের জন্য উত্তম। ওরা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারাও যেন নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও লজ্জাস্থান সংরক্ষন করে—।”
وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ .
“(হে নারী জাতি!) তোমরা স্বগৃহে অবস্থান কর এবং প্রাক-ইসলামী (জাহেলিয়াতী) যুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়িও না।”
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত-
إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ زَمَنَ الْفَتْحِ وَهُوَ بِالْبَطْحَاءِ أَنْ يَأْتِيَ الْكَعْبَةَ، فَيَمْحُوَ كُلَّ صُورَةٍ فِيهَا، فَلَمْ يَدْخُلْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى مُحِيَتْ كُل صُورَةٍ فِيهَا.
মক্কাবিজয়ের সময় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর ইবনুল খাত্তাব রা.-কে আদেশ দিলেন, তিনি যেন কাবা ঘরের সব প্রতিকৃতি মিটিয়ে দেন। সকল ছবি মোছার আগ পর্যন্ত তিনি কাবায় প্রবেশ করেননি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪১৫৬; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৫৮৫৭)।
প্রশ্ন নং ০৬ ‣ দীর্ঘদিন স্ত্রী থেকে দূরে থাকলে কি তালাক হয়ে যাবে?
প্রথমতঃ স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী ৯০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে স্ত্রী তালাক হয়ে যায় এর কোনো দলীল নেই। উমার (রাদিঃ) রাতের বেলায় এক মহিলার কবিতা আবৃতি শুনে নিজের মেয়ে রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী হাফসা (রাদিঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। একজন বিবাহিতা নারী স্বামী ছাড়া কতদিন ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারে? তিনি বলেছিলেন, চারRead more
প্রথমতঃ স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী ৯০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে স্ত্রী তালাক হয়ে যায় এর কোনো দলীল নেই। উমার (রাদিঃ) রাতের বেলায় এক মহিলার কবিতা আবৃতি শুনে নিজের মেয়ে রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী হাফসা (রাদিঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। একজন বিবাহিতা নারী স্বামী ছাড়া কতদিন ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারে? তিনি বলেছিলেন, চার মাস। তখন উমর (রাদিঃ) সকল কর্তৃত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে নির্দেশনা পাঠালেন যার অধীনে লোকেরা নিয়োজিত আছে তাদেরকে ৪ মাস হওয়ার পূর্বেই যেন ছুটি দেওয়া হয়। এ জন্য কোনো স্বামীরই যে কোনো কারণেই হোক স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না। যারা রুজি রোজগারের জন্য অন্য দেশে যায় স্ত্রীকে সাথে নিতে পারে না তাদের এই কাজ শরীয়া সম্মত নয়। যদি তার এই কর্মের কারণে স্ত্রী পাপ কাজে লিপ্ত হয় তাহলে স্ত্রী যেমন কবীরা গুনাহ করল তেমন স্বামী কাবিরাহ গুনাহ করল অর্থ্যাৎ দুজনই সমান অপরাধী। তালাকের বিষয়টি ফকীহদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে, যদি স্বামীর অবস্থান জানা থাকে। তাহলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তালাক হবেনা। বরং স্ত্রী স্বামীর কাছে তালাক দাবী করতে পারবে। স্বামী না দিলে খোলা তালাকের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ আছে। যদি স্বামী নিরুদ্দেশ (তার খোজ না থাকে) হয় তাহলে এক্ষেত্রে কয়েকটি মত আছে। কেউ বলেছেন: স্ত্রী চার বছর অপেক্ষার পর অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে। কেউ বলেছেন বারো বছর পর।
See less“أن عمر بن الخطاب قضى في امرأة المفقود أن تتربص أربع سنين، ثم تعتد أربعة أشهر وعشرا، ثم تحل للأزواج.”
(البيهقي، السنن الكبرى 7/445)
অনুবাদ: উমর ইবনুল খাত্তাব রা. নিখোঁজ স্বামীর স্ত্রীর ব্যাপারে রায় দেন যে, সে চার বছর অপেক্ষা করবে, তারপর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে, এরপর সে চাইলে অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে।
প্রশ্ন নং ০৭ ‣ ইদাদ ও আইয়ামে বীজের সিয়ামের মধ্যে কোনটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ?
ইদাদের প্রোগ্রাম করার ব্যাপারে আইয়্যামে বীজের সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যদি কোনো ভূমিকা থাকে। অথবা যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা যাদেরকে ইদাদে অংশগ্রহণ করাতে চান, তাদের বীজের সিয়াম পালনের সুবিধার্থে ঐদিনগুলো বাদ দিয়ে প্রোগ্রাম করলে ভাল হয়। আর যদি প্রোগ্রাম দীর্ঘদিনের হয় তাহলে,Read more
ইদাদের প্রোগ্রাম করার ব্যাপারে আইয়্যামে বীজের সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যদি কোনো ভূমিকা থাকে। অথবা যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা যাদেরকে ইদাদে অংশগ্রহণ করাতে চান, তাদের বীজের সিয়াম পালনের সুবিধার্থে ঐদিনগুলো বাদ দিয়ে প্রোগ্রাম করলে ভাল হয়। আর যদি প্রোগ্রাম দীর্ঘদিনের হয় তাহলে, বীজের রোজা ছেড়ে দেওয়াটাই ভালো। কারণ বীজ নফল ইবাদত আর ইদাদ ফরজ ইবাদত।
See lessوَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ اللَّهُ يَعْلَمُهُمْ ۚ وَمَا تُنفِقُوا مِن شَيْءٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ
আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না। (সূরা আনফাল ৮: ৬০)
প্রশ্ন নং ০৮ ‣ ত্বগুত আর কাফিরের মধ্যে পার্থক্য কি কি? কে বড় অপরাধী?
ত্বগুত হলো আল্লাহর প্রতিপক্ষ শক্তি। মানুষ ও জ্বীনদের মধ্য থেকে যারা নিজেদেরকে ইলাহের আসনে বসায় এরাই ত্বগুত এবং এরাই শয়তান। আল্লাহ মানব জাতির জন্যে বিধান দিয়েছেন এবং এই মানুষ ও জ্বীন ত্বগুত শয়তান আল্লাহর বিধানের পরিবর্তে নিজেরা বিধান রচনা করে বা অন্য মানুষের রচিত বিধান মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করেRead more
ত্বগুত হলো আল্লাহর প্রতিপক্ষ শক্তি। মানুষ ও জ্বীনদের মধ্য থেকে যারা নিজেদেরকে ইলাহের আসনে বসায় এরাই ত্বগুত এবং এরাই শয়তান। আল্লাহ মানব জাতির জন্যে বিধান দিয়েছেন এবং এই মানুষ ও জ্বীন ত্বগুত শয়তান আল্লাহর বিধানের পরিবর্তে নিজেরা বিধান রচনা করে বা অন্য মানুষের রচিত বিধান মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করে। আর কাফির হল যারা আল্লাহর বিধান মেনে চলতে অস্বীকার করে। এজন্য এরা কাফির, কিন্তু কুফরী করতে তারা অন্যকে বাধ্য করে না বা করতে পারে না। তাই ব্যক্তিগতভাবে একজন কাফিরের চেয়ে ত্বগুতের প্রতিটি সদস্য, সবচেয়ে বেশি অপরাধী। কারণ এরা হল মানুষরূপী শয়তান। শয়তান যেই ভাবে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সকল প্রকার তৎপরতা চালায়। তেমনিভাবে মানুষরূপী এই ত্বগুত শয়তানরাও মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সকল প্রকারের কূটকৌশল অবলম্বন করে। এমনকি তার গোলামী না করলে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে হলেও , শয়তানের গোলামী করতে বাধ্য করে। এজন্য ত্বগুত শয়তানই হলো সৃষ্টিকুলের মধ্যে নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। কাফিরদের চেয়েও জঘন্যতম অপরাধী।
See lessমহান আল্লাহ বলেন,
اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ.
‘‘যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে যান। আর যারা কুফরী করেছে তাদের অভিভাবক তাগূত। তারা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়।’’
(সূরা বাকারা, ২৫৭ আয়াত)
অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন:
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا.
‘‘যারা ঈমানদার তারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে। আর যারা কুফরী করেছে তারা তাগূতের পথে যুদ্ধ করে। অতএব তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; শয়তানের কৌশল অবশ্যই দুর্বল।’’ (সূরা নিসা, ৭৬ আয়াত)
প্রশ্ন নং ০৯ ‣ তাগুতের বিরুদ্ধে হক কথা বলা যায় না এমন মসজিদে সালাত আদায় করা যাবে কি?
মাসজিদের ইমাম যদি মুশরিক না হন অথবা শরীয়তের কোনো শর্ত অনুযায়ী ইমামতির অযোগ্য না হন তাহলে এমন মাসজিদে জামাআতে নামায পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। মাসজিদে ত্বগুত বা দাজ্জাল সম্পর্কে কথা বলা যায়না শুধু এই কারণেই জামাআতে সালাত বর্জন করা যাবে না। কারণ জামাআতে সালাতের গুরুত্ব হাদীসে বর্ণিত আছে। আব্দুল্Read more
মাসজিদের ইমাম যদি মুশরিক না হন অথবা শরীয়তের কোনো শর্ত অনুযায়ী ইমামতির অযোগ্য না হন তাহলে এমন মাসজিদে জামাআতে নামায পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। মাসজিদে ত্বগুত বা দাজ্জাল সম্পর্কে কথা বলা যায়না শুধু এই কারণেই জামাআতে সালাত বর্জন করা যাবে না। কারণ জামাআতে সালাতের গুরুত্ব হাদীসে বর্ণিত আছে।
See lessআব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«صَلاَةُ الْـجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَةِ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِيْنَ دَرَجَةً».
“জামা‘আতে সালাত পড়া একা সালাত আদায়ের চাইতে সাতাশ গুণ বেশি উত্তম”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৫০)
অপর হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ وَرَاحَ أَعَدَّ اللهُ لَهُ نُزُلَهُ مِنَ الْجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ–
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যায়, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে ততবার মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে রাখেন’।
(বুখারী হা/৬৬২; মুসলিম হা/৬৬৯; মিশকাত হা/৬৯৮।)
প্রশ্ন নং ১০ ‣ ইসলাম শেখানোর উদ্দেশ্যে কার্টুন বানানো কি জায়েজ?
কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মRead more
কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মুশরিকদের দেব-দেবীগুলিকেও কার্টুনের সাথে সাদৃশ্যশীল মনে করে। মূর্তি- সংস্কৃতিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে। মূর্তিপূজারীদের অনেক মূর্তি কার্টুন সদৃশ। তাই এ ধরণের কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা দেয়া যাবে না। প্রাণীর ছবি আকার-আকৃতি যে নামই দেয়া হোক না কেন তা রসূলুল্লাহ (সাঃ) নিষিদ্ধ করেছেন। বাচ্চাদেরকে আক্বীদাহগতভাবে মূর্তি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তোলা প্রয়োজন। ইসলামের দিকনির্দেশনা ও স্মৃতিচিহ্ন গুলো যা অবিকৃত সংরক্ষিত আছে এবং ইসলামের সৌর্যবীর্য প্রমাণিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী গল্প আকারে সহজ ভাষায় রচনা করে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিলে ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
See lessমহান আল্লাহ বলেছেন,
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ ۗ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَىٰ وَلَٰكِن تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ.
তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ, হেদায়েত ও রহমত রয়েছে। (সূরা ইউসূফ আয়াত : ১১১)
প্রশ্ন নং ১১ ‣ বেনামাজি নেশাখোর ব্যক্তির টাকায় কেনা খাবার খাওয়া কি জায়েজ?
সালাত না পড়া এবং নেশা করা এটা তার আমলের ত্রুটি। তাদের টাকায় কেনা খাবার খাওয়া জায়েজ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমাRead more
সালাত না পড়া এবং নেশা করা এটা তার আমলের ত্রুটি। তাদের টাকায় কেনা খাবার খাওয়া জায়েজ।
See lessআব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়।
এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে পতিত হবে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম (বৈরূত : ১৪২২/২ ০০১) ২০১ পৃ.)।
রাসূল (ছাঃ) ইহূদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন ও তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন ।
তবে বিরত থাকা উত্তম। কেননা সে দুটি বড় ধরনের পাপে লিপ্ত। অথচ লাল কাপড় পরিহিত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম প্রদান করলে তিনি সালামের জওয়াব দেননি। কারণ তিনি লাল কাপড় পরিধান করা পুরুষদের জন্য পসন্দ করতেন না (হাকেম হা/৭৩৯৯; ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/১৩৫০, সনদ ছহীহ)।
প্রশ্ন নং ১২ ‣ কসরের সময়সীমা কত দিন?
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইলRead more
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইল ও সফরের সময়কাল ১৯ দিন পর্যন্ত কসর করার প্রমাণ রয়েছে। হাদীস নিম্নে দেয়া হলো:
See lessعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةَ عَشَرَ يَقْصُرُ، فَنَحْنُ إِذَا سَافَرْنَا تِسْعَةَ عَشَرَ قَصَرْنَا، وَإِنْ زِدْنَا أَتْمَمْنَا
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থানকালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ঊনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ আদায় করি। (সহিহ বুখারী তাওঃ পাবঃ হাঃ নং ১০৮০)
তবে সাময়িক থাকার নিয়ত থাকে কিন্তু কোন কারণে সফর অনেক দীর্ঘ হয়ে যায় তাহলে যতদিন থাকবে ততদিনই কসর করতে পারবে।
عن نافع، قال: أقام ابن عمر بأذربيجان ستة أشهر، أو قال: ستة عشرا شهراً يقصر الصلاة، وكان الثلج حبسهم، وكان يصلي ركعتين.
নাফি’ (রহ.) থেকে বর্ণিত: ইবনে উমর (রাঃ) আজারবাইজানে ছয় মাস অথবা ষোল মাস (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অবস্থান করেছিলেন এবং এই পুরো সময় কসর নামাজ আদায় করতেন।
তুষারপাতের কারণে তারা আটকা পড়েছিলেন, কিন্তু তবুও তিনি দুই রাকাত (কসর) নামাজই পড়তেন।
মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নম্বর: : 9360
ইমাম বুখারী, ইমাম মালিক এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও এই আমল উল্লেখ করেছেন।
যেহেতু তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়ত করেন নি বরং তুষার তাকে আটকে রেখেছিল।
عن أنس بن مالك أنه أقام بالشام سنتين يقصر الصلاة.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) শামে দুই বছর অবস্থান করেছিলেন এবং কসর নামাজ আদায় করেছিলেন।
المصنف لابن أبي شيبة
হাদীস বর্ণনা আছে ইবন কুদামার المغني গ্রন্থেও।
প্রশ্ন নং ১৩ ‣ ওযু করার পর কোনো জায়গা শুকনো থাকলে কি ওযু হবে?
ওযুর অঙ্গের মধ্যে এক চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ওযু হবে না। আর ঐ অজু দিয়ে সালাত হবেনা। ওযুর অঙ্গ ভেজা থাকা অবস্থায় যদি কোনো জায়গা শুষ্ক দেখা যায় তাহলে ভেজা অংশ থেকে হাত দ্বারা শুকনো অংশ ডলে দিলে ওযু হয়ে যাবে। কিন্তু ওযুর অঙ্গ শুকিয়ে গেলে নতুন করে ওযু করতে হবে। যেহেতু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাRead more
ওযুর অঙ্গের মধ্যে এক চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ওযু হবে না। আর ঐ অজু দিয়ে সালাত হবেনা। ওযুর অঙ্গ ভেজা থাকা অবস্থায় যদি কোনো জায়গা শুষ্ক দেখা যায় তাহলে ভেজা অংশ থেকে হাত দ্বারা শুকনো অংশ ডলে দিলে ওযু হয়ে যাবে। কিন্তু ওযুর অঙ্গ শুকিয়ে গেলে নতুন করে ওযু করতে হবে।
See lessযেহেতু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা কতক লোকের শুষ্ক গোড়ালি দেখে বলেছিলেন, “গোড়ালিগুলোর জন্য দোযখে ধ্বংস ও সর্বনাশ রয়েছে! তোমরা ভালরুপে (সকল অঙ্গকে সম্পূর্ণরুপে) ধুয়ে ওযু কর।” (মুসলিম, মিশকাত ৩৯৮নং)
এক ব্যক্তি ওযু করার পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে দেখলেন, তার দুই পায়ে নখ পরিমাণ জায়গা শুষ্ক রয়েছে। তিনি তাকে বললেন, “তুমি ফিরে গিয়ে ভালরুপে ওযু করে এস।” (আবূ দাঊদ, সুনান ১৫৮নং)
প্রশ্ন নং ১৪ ‣ জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কারও গীবত করা কি জায়েজ?
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন তাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচRead more
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন
See lessতাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচানোর জন্য তার অনুপিস্থিতিতে তার ত্রুটি বর্ণনা করা গীবত নয়। ইমাম নববী গীবত থেকে যে ৬টি বিষয়কে আলাদা করেছেন এটা হল তার একটি।
হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, বিদ‘আতী ব্যক্তির সমালোচনা করা হারাম গীবতের পর্যায়ভুক্ত নয়।
(হেবাতুল্লাহ লালকাঈ, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ১/১৫৮।)
একবার আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল,
الرجل يصوم ويصلي ويعتكف أحب إليك أو يتكلم في أهل البدع؟ ‘
যে ব্যক্তি ছিয়াম রাখে, ছালাত আদায় করে এবং ই‘তিকাফ করে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী পসন্দনীয়, নাকি যে বিদ‘আতীদের সম্পর্কে কথা বলে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী প্রিয়’? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই ব্যক্তি যখন ছালাত-ছিয়াম ও ই‘তিকাফে রত থাকে, তখন সেই আমলটা শুধু তার নিজের জন্যই সম্পাদিত হয়। কিন্তু যখন সে বিদ‘আতীর বিরুদ্ধে কথা বলে, তখন সেখানে গোটা মুসলিম জাতির কল্যাণ নিহিত থাকে। আর এটাই অধিকতর উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ’।
(ইবনে তাইমিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া, ২৮/২৩১।)
তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন খতিবের সমালোচনা যেন অবশ্যই সংশোধনমূলক ও ইনছাফপূর্ণ হয়। অর্থাৎ তিনি তার বক্তৃতা, লেখনি ও কর্মকান্ডে দ্বীনের ব্যাপারে যতটুকু ভুল করেছেন, কেবল ততটুকুর সমালোচনা করে সঠিক বিষয় পরিবেশন করা কর্তব্য। সেই সমালোচনা যেন কোনভাবেই হিংসামূলক এবং ব্যক্তিগত চরিত্রে আক্রমণমূলক না হয়ে যায়। এমন হ’লে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হবে।