আমি শুনেছিলাম যে যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীর কাছে ৯০ দিন না আসে তাহলে নাকি তার স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। যদি তার স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে বাহিরে থাকে ৫/৬ বছর তাহলেও কি তার স্ত্রী তালাক হবে?
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
প্রথমতঃ স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী ৯০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে স্ত্রী তালাক হয়ে যায় এর কোনো দলীল নেই। উমার (রাদিঃ) রাতের বেলায় এক মহিলার কবিতা আবৃতি শুনে নিজের মেয়ে রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী হাফসা (রাদিঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। একজন বিবাহিতা নারী স্বামী ছাড়া কতদিন ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারে? তিনি বলেছিলেন, চার মাস। তখন উমর (রাদিঃ) সকল কর্তৃত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে নির্দেশনা পাঠালেন যার অধীনে লোকেরা নিয়োজিত আছে তাদেরকে ৪ মাস হওয়ার পূর্বেই যেন ছুটি দেওয়া হয়। এ জন্য কোনো স্বামীরই যে কোনো কারণেই হোক স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না। যারা রুজি রোজগারের জন্য অন্য দেশে যায় স্ত্রীকে সাথে নিতে পারে না তাদের এই কাজ শরীয়া সম্মত নয়। যদি তার এই কর্মের কারণে স্ত্রী পাপ কাজে লিপ্ত হয় তাহলে স্ত্রী যেমন কবীরা গুনাহ করল তেমন স্বামী কাবিরাহ গুনাহ করল অর্থ্যাৎ দুজনই সমান অপরাধী। তালাকের বিষয়টি ফকীহদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে, যদি স্বামীর অবস্থান জানা থাকে। তাহলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তালাক হবেনা। বরং স্ত্রী স্বামীর কাছে তালাক দাবী করতে পারবে। স্বামী না দিলে খোলা তালাকের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ আছে। যদি স্বামী নিরুদ্দেশ (তার খোজ না থাকে) হয় তাহলে এক্ষেত্রে কয়েকটি মত আছে। কেউ বলেছেন: স্ত্রী চার বছর অপেক্ষার পর অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে। কেউ বলেছেন বারো বছর পর।
“أن عمر بن الخطاب قضى في امرأة المفقود أن تتربص أربع سنين، ثم تعتد أربعة أشهر وعشرا، ثم تحل للأزواج.”
(البيهقي، السنن الكبرى 7/445)
অনুবাদ: উমর ইবনুল খাত্তাব রা. নিখোঁজ স্বামীর স্ত্রীর ব্যাপারে রায় দেন যে, সে চার বছর অপেক্ষা করবে, তারপর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে, এরপর সে চাইলে অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে।