কোনো খতিবের বক্তব্যের কারণে যদি এলাকাবাসী পথভ্রষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দেয় তবে তার বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ঐ খতিবের আড়ালে তার সমালোচনা করা কি জায়েজ হবে ?
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
প্রথমে খতিবকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কথাটি মুসল্লীদেরকে জানিয়ে দিতে বলতে হবে । কিন্তু সে যদি এটা না করেন
তাহলে তার বক্তব্য অবিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করলে গীবত হবে না। কারো কোন ত্রুটি যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তার এই ক্ষতি থেকে অন্যদেরকে বাঁচানোর জন্য তার অনুপিস্থিতিতে তার ত্রুটি বর্ণনা করা গীবত নয়। ইমাম নববী গীবত থেকে যে ৬টি বিষয়কে আলাদা করেছেন এটা হল তার একটি।
হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, বিদ‘আতী ব্যক্তির সমালোচনা করা হারাম গীবতের পর্যায়ভুক্ত নয়।
(হেবাতুল্লাহ লালকাঈ, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ১/১৫৮।)
একবার আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল,
الرجل يصوم ويصلي ويعتكف أحب إليك أو يتكلم في أهل البدع؟ ‘
যে ব্যক্তি ছিয়াম রাখে, ছালাত আদায় করে এবং ই‘তিকাফ করে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী পসন্দনীয়, নাকি যে বিদ‘আতীদের সম্পর্কে কথা বলে, সেই লোক আপনার কাছে বেশী প্রিয়’? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই ব্যক্তি যখন ছালাত-ছিয়াম ও ই‘তিকাফে রত থাকে, তখন সেই আমলটা শুধু তার নিজের জন্যই সম্পাদিত হয়। কিন্তু যখন সে বিদ‘আতীর বিরুদ্ধে কথা বলে, তখন সেখানে গোটা মুসলিম জাতির কল্যাণ নিহিত থাকে। আর এটাই অধিকতর উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ’।
(ইবনে তাইমিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া, ২৮/২৩১।)
তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, কোন খতিবের সমালোচনা যেন অবশ্যই সংশোধনমূলক ও ইনছাফপূর্ণ হয়। অর্থাৎ তিনি তার বক্তৃতা, লেখনি ও কর্মকান্ডে দ্বীনের ব্যাপারে যতটুকু ভুল করেছেন, কেবল ততটুকুর সমালোচনা করে সঠিক বিষয় পরিবেশন করা কর্তব্য। সেই সমালোচনা যেন কোনভাবেই হিংসামূলক এবং ব্যক্তিগত চরিত্রে আক্রমণমূলক না হয়ে যায়। এমন হ’লে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হবে।