বর্তমানে অনেক শিশুই কার্টুন ভিডিয়োতে বাজেভাবে আসক্ত। তাদের এই কার্টুন প্রেমকে কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ইসলামিক কার্টুন বানানো কি জায়েজ হবে?
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মূর্তি সংস্কৃতিকে সহনীয় করার জন্যে এবং গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার জন্যে এটা মূর্তি পূজারীদের একটি অপকৌশল। বাচ্চাদের ছোট মনে কার্টুনের মাধ্যমে মূর্তির গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা মূর্তিপূজারী মুশরিকদের দেব-দেবীগুলিকেও কার্টুনের সাথে সাদৃশ্যশীল মনে করে। মূর্তি- সংস্কৃতিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে। মূর্তিপূজারীদের অনেক মূর্তি কার্টুন সদৃশ। তাই এ ধরণের কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা দেয়া যাবে না। প্রাণীর ছবি আকার-আকৃতি যে নামই দেয়া হোক না কেন তা রসূলুল্লাহ (সাঃ) নিষিদ্ধ করেছেন। বাচ্চাদেরকে আক্বীদাহগতভাবে মূর্তি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তোলা প্রয়োজন। ইসলামের দিকনির্দেশনা ও স্মৃতিচিহ্ন গুলো যা অবিকৃত সংরক্ষিত আছে এবং ইসলামের সৌর্যবীর্য প্রমাণিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী গল্প আকারে সহজ ভাষায় রচনা করে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিলে ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ ۗ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَىٰ وَلَٰكِن تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ.
তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ, হেদায়েত ও রহমত রয়েছে। (সূরা ইউসূফ আয়াত : ১১১)