বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কতদিন পর্যন্ত সালাত কসর করা যাবে?
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ইমাম আবু হানীফাহ (রহিঃ), ইমাম শাফিঈ (রাহিঃ) ও ইমাম মালিক (রহিঃ) সফরের জন্য ৪৮ মাইল দূরত্ব নির্ধারণ করেছেন । কারো মতে, সাধারণ ভাবে সফর হলেই উদ্দেশ্য যা-ই হোক কসর করা যাবে। হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী কোথাও ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়্যাত করে বের হলে কসর করতে হবে। হাদীসে দূরত্ব ৯ মাইল ও সফরের সময়কাল ১৯ দিন পর্যন্ত কসর করার প্রমাণ রয়েছে। হাদীস নিম্নে দেয়া হলো:
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةَ عَشَرَ يَقْصُرُ، فَنَحْنُ إِذَا سَافَرْنَا تِسْعَةَ عَشَرَ قَصَرْنَا، وَإِنْ زِدْنَا أَتْمَمْنَا
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থানকালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ঊনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ আদায় করি। (সহিহ বুখারী তাওঃ পাবঃ হাঃ নং ১০৮০)
তবে সাময়িক থাকার নিয়ত থাকে কিন্তু কোন কারণে সফর অনেক দীর্ঘ হয়ে যায় তাহলে যতদিন থাকবে ততদিনই কসর করতে পারবে।
عن نافع، قال: أقام ابن عمر بأذربيجان ستة أشهر، أو قال: ستة عشرا شهراً يقصر الصلاة، وكان الثلج حبسهم، وكان يصلي ركعتين.
নাফি’ (রহ.) থেকে বর্ণিত: ইবনে উমর (রাঃ) আজারবাইজানে ছয় মাস অথবা ষোল মাস (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অবস্থান করেছিলেন এবং এই পুরো সময় কসর নামাজ আদায় করতেন।
তুষারপাতের কারণে তারা আটকা পড়েছিলেন, কিন্তু তবুও তিনি দুই রাকাত (কসর) নামাজই পড়তেন।
মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নম্বর: : 9360
ইমাম বুখারী, ইমাম মালিক এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও এই আমল উল্লেখ করেছেন।
যেহেতু তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়ত করেন নি বরং তুষার তাকে আটকে রেখেছিল।
عن أنس بن مالك أنه أقام بالشام سنتين يقصر الصلاة.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) শামে দুই বছর অবস্থান করেছিলেন এবং কসর নামাজ আদায় করেছিলেন।
المصنف لابن أبي شيبة
হাদীস বর্ণনা আছে ইবন কুদামার المغني গ্রন্থেও।